গভীর রাতে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণ করলেন পরিচিত ব্যাক্তি। গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। স্থান এবার দক্ষিণ দিনাজপুর। ধর্ষণে অভিযুক্ত খোদ ওই কিশোরীর পরিচিত ব্যাক্তি। উল্লেখ্য, মালদহ ইংরেজ বাজার, দেগঙ্গা, হাঁসখালি, হুগলি কোন্নগর, শান্তিনিকেতন, ময়নাগুড়ি, একের পর এক ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টায় উত্তাল রাজ্য। এহেন পরিস্থিতিতে আরও একটা নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা ঘটল এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে। ধর্ষণ অভিযুক্ত অচেনা কেউ নয়, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লক এলাকায়। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী।
দক্ষিণ দিনাজপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার গভীর রাতে। সকলের আড়ালে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ওই দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এদিকে পরিচিত হওয়ায় প্রথমে গভীর রাতে কেউ ব্যাপারটা আঁচ করতে পারেননি। তবে সকাল হতেই নৃশংস ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়। সকালে ওই কিশোরী মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা বছর ১৬ এর ওই কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। এদিকে একেই দুঃস্থ পরিবার, তার উফর এহেন ঘটনার পর কী করবে বুঝে উঠে পারছিল ওই পরিবার। তবে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরেই বালুর ঘাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই হাসপাতাল।
রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত ধর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে, কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন, অটোয় নাবালিকার গোপানাঙ্গে স্পর্শ, মানিকতলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশই
এদিকে গতকালই হাঁসখালি ও বগটুইকাণ্ডে পুলিশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন বৈঠকে হাঁসখালি ও বগটুইকাণ্ড নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাটের পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করে মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলে, হাঁসখালির ঘটনা কীভাবে ঘটল। কেন খবর নেওয়া হয়নি, কেন দেরীতে খবর পেল পুলিশ। পুলিশের গাফিলতিতে সরকার কেন ভুগবে। প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ, শিউরে উঠেছে কোন্নগরবাসী, ধৃত ৪