বৈদ্যবাটির পাশাপাশি একই চিত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে উত্তরপাড়াতেও। এখানে প্রথম থেকেই তৃণমূল করতেন এলাকার দাপুটে নেচা পিনাকি ধামালি। তিনিও এবারে তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন জয়।
তারকেশ্বর পুরসভা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে। শ্রীরাম পুরসভায় এক নম্বর ওয়ার্ডে বাম, এবং ২, ১৭, ১৮, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। রিষড়া পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ড। তৃণমূল জয়ী ৫টিতে, কংগ্রেস জয়ী ১টিতে। ১,৩,৫,৬ ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী। কংগ্রেস এখানে দ্বিতীয় স্থানে। ৫টিতে কংগ্রেস জয়ী। উত্তরপাড়া পৌরসভায় ১,২ তৃণমূল জয়ী, ৩,৪ বামেরা জয়ী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে বামেরা। বৈদ্যবাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বৈদ্যবাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রাজু পাড়ুই বলেন, “আমি তৃণমূল-কংগ্রেস ছিলাম, তৃণমূলে আছি, তৃণমূলে থাকব। দল যদি মনে করে আমাকে, আমাদের আবার ফিরব। আমরা দলের বিরুদ্ধে নই, আমরা পার্টির বিরুদ্ধে নই। আমরা তৃণমূল-কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে নই।আমি এবারেই প্রথম প্রার্থী হই। আমি আমাদের ওয়ার্ডে দলের দায়িত্বেই ছিলাম। নিকাশি থেকে শুরু করে আলো সমস্ত সমস্যাই একাহাতে সামলাতা। এর আগে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তাকে সাড়ে তিন বছর আগে সরানো হয়।তারপর থেকে আমিই দায়িত্বে ছিলাম। আগামীতেও দলের হয়েই কাজ করত চাই সুযোগ পেলে।” এদিকে হুগলী পুরসভায় ভোট হয়েছে হুগলি-চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, রিষড়া, কোন্নগর, আরামবাগ, উত্তরপাড়া-কোতরং, তারকেশ্বর, ডানকুনিতে। প্রতিটা পৌরসভায় রাজনৈতির ভাবে বরাবরই খুবই উত্তপ্ত থেকেছে।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
এদিকে বৈদ্যবাটির পাশাপাশি একই চিত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে উত্তরপাড়াতেও। এখানে প্রথম থেকেই তৃণমূল করতেন এলাকার দাপুটে নেচা পিনাকি ধামালি। এর আগের নির্বাচনেও দল থেকে টিকিট পাননি তিনি। সেই সময় বলা হয় পরের নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে। অবশেষে নাম লিখিয়েছিলেন নির্দলে। উচ্চ-নেতৃত্বের কড়া বার্তা দেওয়ার পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তিনি। এবার তিনিও জিতে গিয়েছেন উত্তরপাড়া ৫ নং ওয়ার্ড থেকে। যদিও জয় আসার পরে পিনাকী বাবুর জবাব, “আমার একটা প্রতিবাদ ছিল। সেই প্রতিবাদ করার জন্যই ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম”। অন্যদিকে এবারের পুরভোটে শ্রীরামপুরের একাধিক ওয়ার্ডে ব্যাপক ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শ্রীরামপুর পৌরসভার ২৫নং ওয়ার্ডের ৭ নং বুথে ভোটার সংখ্যা ৯৫২ জন৷ অভিযোগ, ওই বুথে নাকি মোট ভোটারের থেকে অনেক বেশি ভোট পড়েছিল৷ যার পরে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছিল৷