১৯৪৫ সালের আগস্টে নেতাজির রহস্যময় অন্তর্ধান নিয়ে গোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত ১০টি তদন্ত কমিশন হয়েছে। তার মধ্যে ৩টি ভারতে।
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে (Netaji's 125th birth anniversary) রবিবার সারাদিন উদযাপনের মেজাজেই ছিল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সকলেই দেশবাসীকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা। এদিকে যে বাঙালি বীর সন্তান্তের বিপ্লবের আগুনে ঝলসে একদা ভারত ছেড়ে পালিয়েছিল পরাক্রমশালী ব্রিটিশ রাজ, সেই নেতাজির মৃত্যু রহস্যের (Netaji's death is a mystery) জট আজও খোলেনি। এদিকে নেতাজি সংক্রান্ত ক্লাসিফায়েড ফাইলগুলি নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে একাধিকবার হিন্দোল উঠেছে। সম্প্রতি কিছু ফাইল কেন্দ্রের তরফে প্রকাশ করা হলেও সেখানে মৃত্যু রহস্যের অন্ধকার পুরোপুরি ভাবে ঘোচেনি। এমতাবস্থায় নেতাজি সংক্রান্ত সব ক্লাসিফায়েড ফাইল (All classified files related to Netaji) প্রকাশ করার দাবি বারেবারেই উঠেছে। বিশেষত একটি ফাইলের কথা শোনা যাচ্ছে যেটি কেন্দ্রের হাতে রয়েছে সেটিও প্রকাশ করার দাবি রয়েছে।
এদিকে আরও সহজ ভাবে দেখলে ১৯৪৫ সালের আগস্টে নেতাজির রহস্যময় অন্তর্ধান (mysterious disappearance of Netaji) নিয়ে গোটা বিশ্বে এ পর্যন্ত ১০টি তদন্ত কমিশন হয়েছে। তার মধ্যে ৩টি ভারতে। এছাড়া আমেরিকা, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মান, জাপানের তদন্ত কমিশন এর মধ্যেই আছে। বিচারপতি মনোজ মুখার্জি কমিশনই প্রথম বলে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। এটাই ছিল তদন্তের মূল বিষয়। অন্যদিকে নেতাজি তদন্তের দেশের তিন কমিশন-শাহনওয়াজ, খোসলা এবং মুখার্জি কমিশনের পর্যবেক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ তফাত এবং সর্বশেষ কমিশনের বক্তব্যে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে, কিন্তু তারপরেও কেন তদন্ত প্রক্রিয়া আর এগোল না কেন সেই প্রশ্ন বারেবারে উঠেছে। একইসঙ্গে কেন তারপর আর নতুন করে তদন্ত কমিটি বসল না সেই প্রশ্নও আজও ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন-
আরও পড়ুন-
এদিকে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে নাকি কাচের আধারে নেতাজির চিতাভস্ম রাখা আছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত সেটা সেখানে আছে। ভারত সরকার এজন্য একটা খরচও দেয়। কিন্তু এই ইস্যু নিয়েও একাধিকবার হয়েছে বিভিন্ন জলঘোলা। জাপানের রেনকোজি মন্দিরে যে চিতাভস্ম আছে, তার ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি তুলেছেন অনেকে। কারণ মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট স্পষ্ট বলা ছিল ওই চিতাভস্ম নেতাজির নয়। ওটা আদপে তাইওয়ানিজ সেনা ওকুরা ইচিরোর। এমনকী মুখার্জী কমিশনের প্রধান বিচারপতি মনোজ মুখার্জি রেনকোজি মন্দিরে গিয়ে আবিষ্কার করেন, সেখানে এক বিন্দুও ভস্ম নেই। আছে কয়েকটি হাড়ের টুকরো। সেটা কোন ধরনের প্রাণীর সেটা বোঝাই মুশকিল। যা নিয়ে আজও নানা জল্পনা শোনা যায় বিভিন্ন মহলে।