মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট গণহত্যায় নিহত ৮ জনের দেহ সৎকার হল বকটুই গ্রামে। মৃতদের মধ্যে ২টি শিশুর দেহ চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রামপুরহাট গণহত্যা(Rampurhat genocide) নিয়ে গতকাল থেকেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। ওই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে যাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে মোট মৃতের সংখ্যা ৮। এবার এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সরব হতে দেখা গেল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই, রামপুরহাটের ঘটনায় বীরভূমের পুলিশ সুপারকে(Superintendent of Police of Birbhum) চিঠিও দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনার তদন্ত হোক, এমনটাই বলা হয়েছে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চিঠিতে। তিন দিনের মধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তাও স্পষ্ট ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এবার এই ইস্যু নিয়েই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
অন্যদিকে প্রশাসনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট গণহত্যায় নিহত ৮ জনের দেহ সৎকার হল বকটুই গ্রামে। মৃতদের মধ্যে ২টি শিশুর দেহ চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রয়েছেন মহিলারা। এদিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে দেহগুলির ময়নাতদন্তের পর গ্রামে নিয়ে যান প্রশাসনের আধিকারিকরা। রামপুরহাট গণহত্যায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন আক্রান্তরা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রামপুরহাটের ঘটনায় এনআইএ ও সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের(Investigation into the Rampurhat incident with NIA and CBI) দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রামপুরহাটে প্রতিনিধি দল পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যকে ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা নিয়েও চলছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল
অন্যদিকে রাজ্য-আইনশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ৩৫৫ ধারা জারির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী( Pradesh Congress President Adhir Ranjan Chowdhury)।অন্যদিকে বামেদের অভিযোগ ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে ইতিমধ্যেই আবার বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(BJP's all-India president JP Nadda) পাঁচ সদস্যের একটি ‘সত্যতা যাচাই কমিটি’ গড়েছেন এই ঘটনার তদন্তের জন্য। ওই দলের সদস্যেরা আগামী শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন। ওই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রয়েছেন ভারতী ঘোষ। বিজেপি-র এই কমিটির অবস্থান আগামীতে কি হয় সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তারমধ্যেই শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের এই চিঠি যে রাজ্য প্রশাসনের স্নায়ুর চাপ আরও বাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।