এই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এমতাবস্থায় এবার ৩৫৫ ধারা নিয়েই রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অধীর।
রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার দিনভরত উত্তাল থেকেছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছে বিরোধীরা। বীরভূমের রামপুরহাটের তৃণমূল উপপ্রধানের মৃত্যুতে গতকাল থেকেই রণক্ষেত্র রামপুরহাট। তারপরেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই নৃশংস ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার এই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যে ৩৫৫ ধারা নিয়ে সম্প্রতি নানা চাপানউতর শোনা গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেই ৩৫৫ ধারা নিয়েই এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অধীর।
তাঁর সাফ দাবি, বর্তমানে বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে শীঘ্রই রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৫৫ ধারা লাঘু করার আর্জি জানাবেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্য নিয়েই বর্তমানে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সিট গঠন করা বাংলায় তৃণমূলের সন্ত্রাসকে স্তম্ভ করে দেওয়ার একটি সংস্থার নাম। পশ্চিমবঙ্গ খুনীদের রাজ্যে পরিণত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আর কতজনের রক্ত নেবেন'? সঙ্গে যোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে যা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, তাতে আমার মনে হয়, সরকারের বিরুদ্ধে ৩৫৫ ধারা জারি করার সময়ে এসেছে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে অবশ্যই দাবি জানাব'। একই দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দখা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যথাযথ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এই রাজ্য ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুকান্তর।
আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল
এদিকে রামপুরহাটের ঘটনায় এনআইএ ও সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রামপুরহাটে প্রতিনিধি দল পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, তার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। সেকথাও সাফ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতর। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়।