রাজ্যে লোকসভা ভোটে এনআরসি বা অনুপ্রবেশকারী বিতারণই ছিল মূল ইস্য়ু। মেরুকরণের রাজনীতিতে ভর করে ১৮ আসন পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু অসমে এনআরসি ইস্যুতে হাত পোড়ার পর এবার বাংলায় সাবধানে চলো নীতি নিচ্ছে বিজেপি। সংকল্প যাত্রায় সেই সুরই শোনা গেল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে।
অসমে মুসলিম বিতারণ করতে গিয়ে এনআরসি তালিকায় বাদ পড়েছেন বহু হিন্দু। যাদের মধ্যে রয়েছে বহু বাঙালির নাম। সুযোগ পেয়েই এনআরসি ইস্য়ুতে বাঙালি বিতারণকে হাতিয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। রাজ্যে এনআরসি হলে বাঙালিরাই দেশ ছাড়া হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পরিসংখ্য়ান বলছে, এনআরসি আতঙ্কে রাজ্যে ইতিমধ্য়েই মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। যার জেরে রাজ্যের রাজনৈতিক আঙিকায় অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। বেগতিক দেখে এখন এনআরসির বদলে সিটিজেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিলকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। এবার সেই কথাই শোনা গেল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মুখে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাায় এসে এদিন বিজেপি নেত্রী বলেন, রাাজ্যে এনআরসি মূল ইস্য়ু নয়। মুখ্য়মন্ত্রীই রাজ্যবাসীর মনে এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। মোদীজির নেতৃত্বে আগে দেশে সিটিজেন্স অ্য়ামেন্ডমেন্ট বিল আনা হবে। দেশের নাগরিকদের চিহ্নিত করার পরই আসবে অন্য ব্য়বস্থা। তবে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রথম থেকেই নরম ছিলেন বিজেপি নেত্রী। এনআরসি নিয়ে তিনি বলেন, পরিবারে বাবা, মা, ভাই, বোনের চাহিদা মিটলেই তো অন্য কারও দায়িত্ব নেওয়া যেতে পারে। নিজের সংসারের লোকেদের খেতে না দিয়ে বাইরের লোককে কি কিছু দেওয়া যেতে পারে। মোদীজি , অমিত শাহও একই কথা বলেছেন।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জুলপিয়া থেকে আমতলা থেকে বাখড়া হাট পর্যন্ত গান্ধী সংকল্প যাত্রা করে বিজেপি। গান্ধীজির বিভিন্ন মতাদর্শের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্য়ায় ছাড়াও মিছিলে হাঁটেন রাজ্য সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিজেপির পশ্চিম ভাগের সভাপতি অভিজিৎ দাস সহ বিজেপির সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু। ঝাঁটা হাতে রাজ্য় থেকে তৃণমূলকে তাড়ানোর বার্তা দেন রূপা। তিনি বলেন,মোদীজির স্বচ্ছ ভারত মিশন হচ্ছে ঝাড় দিয়ে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে তাড়ানো।