২১ জুলাইয়ের সকালে ট্যুইটারে মানুষের জন্য সব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের

Published : Jul 21, 2022, 10:40 AM IST
২১ জুলাইয়ের সকালে ট্যুইটারে মানুষের জন্য সব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের

সংক্ষিপ্ত

২১ জুলাইয়ের সকালে ট্যুইটারে মানুষের জন্য বার্তা দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কী লিখলেন তিনি?

২১ জুলাই তৃণমূল তথা গোটা বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসেই খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূলের শহীদ দিবস এককথায় তাদের লোকশক্তি প্রদর্শনেরও দিন বটে। এই দিনের প্রস্তুতি চলে অনেক দিন ধরে। সারা রাজ্যের লোক এসে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ভীড় জমায়। এহেন তাৎপর্যপূর্ণ দিনের সকালে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ট্যুইটটিও তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এদিন ট্যুইটারে লিখেছেন,'২১শে জুলাই বাংলার ইতিহাসে এক পবিত্র দিন! ১৯৯৩ সালে পুলিশের বর্বরতার কারণে প্রাণ হারানো ১৩ জন শহীদের প্রতি আমি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এই #শহীদদিবাস, আমাদের কণ্ঠ আরও জোরে হোক - আমরা কোনো শক্তির কাছে নত হব না! মানুষের জন্য, আমরা আমাদের সব দেব।' 

এদিন তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার জন্যও কলম ধরেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি সেখানে শহিদ দিবসের তাৎপর্যের পাশাপাশি ‘জাগো বাংলা’র দৈনিক সংস্করণের প্রথম বর্ষপূর্তির কথা লিখেছেন। অভিষেক লিখেছেন, ' একুশে জুলাই বাংলার ক্যালেন্ডারে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঊনিশশো তিরানব্বইয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর বামজমানার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, গণহত্যা, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যার চেষ্টা, তেরোজন নিরাপরাধ রাজনৈতিক কর্মীকে সংগঠিতভাবে হত্যা, শতাধিক প্রতিবাদীকে জখম করা এক কলঙ্কিত দিন। তারপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা এবং বাংলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন নাগরিক প্রতিবছর এই দিনটিকে পালন করেন। এই দিনটি পালনের একাধিক তাৎপর্য রয়েছে। প্রথমত, কী প্রবল অত্যাচার, অবিচারের ভয়ঙ্কর দিনগুলি পার করে বাংলায় নতুন সূর্যোদয় আনতে হয়েছে, তা মনে রাখা, মনে করানো এবং নতুন প্রজন্মকে জানানো। দ্বিতীয়ত, শহিদতর্পণ এবং গণআন্দোলনের সব শহিদের পরিবারের প্রতি কর্তব্যপালনের দায়বদ্ধতা অব্যাহত রাখা।
তৃতীয়ত, রাজনীতির অভিমুখ নির্ধারণে নতুন শপথ এবং নেত্রীর বার্তা। একুশে জুলাই প্রতিবার এক একটি প্রেক্ষাপটে রাজ্য রাজনীতির দিকনির্দেশিকা হয়ে উঠেছে। এবারও আমাদের শপথ হবে একদিকে বাংলার মানুষের সমর্থন ও আশীর্বাদকে সম্মান জানিয়ে বাংলার উন্নয়ন ও সুরক্ষা আরও সুনিশ্চিত এবং দৃঢ় করা। বঙ্গবিরোধী অশুভ শক্তির চক্রান্তের মোকাবিলা করা। আর সেই সঙ্গে দিল্লি থেকে জনবিরোধী শক্তির অবসান ঘটিয়ে জনমুখী, জনস্বার্থবাহী শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বাংলার। আর এইবছর এই একুশে জুলাই যোগ হচ্ছে আরেকটি তাৎপর্য। সেটি হল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলার দৈনিক সংস্করণের প্রথম বর্ষপূর্তি। '

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কী বার্তা দেবেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা শহরের পথে রওনা হয়ে গিয়েছেন। প্রায় আটটি পথে আজ মিছিল বেরোনোর কথা। ধর্মতলায় সভাস্থলের জন্য মেয়ো রোডে খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মেনুতে রয়েছে মাংস ভাত, ছ্যাচড়ার তরকারি, ডাল।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর
"মমতা কিছুই করেননি, মোদীজি যা করেছেন তা ভালো": বন্দে মাতরম নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপৌত্র