বিশ্বভারতীকাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে, গ্রেফতার ৮

  • বিশ্বভারতীতে পৌষমেলার মাঠে ভাঙচুর
  • আটজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
  • ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকল কী করে?
  • আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
     

Asianet News Bangla | Published : Aug 18, 2020 5:11 PM IST / Updated: Aug 18 2020, 10:43 PM IST

আশিষ মণ্ডল ও রুশি পাঁজা:  অভিযোগ পাওয়ার পর আর দেরি নয়, গ্রেফতার করা হল আটজনকে। ধৃতদের দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কারও নামই নেই এফআইআর-এ! বিশ্বভারতীকাণ্ডে এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এদিকে আবার বিশ্বভারতীকাণ্ডে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সই জাল করে প্রতারণা, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার ১

তাহলে কি আর খোলা মাঠে পৌষমেলা হবে না? বিশ্বভারতীর মেলার মাঠটিকে ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাজও চলছিল জোরকদমে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা পারদ চড়ছিল শান্তিনিকেতনে। সোমবার সকালে বোলপুর পোস্ট অফিসের কাছ থেকে ধিক্কার মিছিল বের হয়। মিছিলে পা মেলান হাজার দশেক মানুষ। কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা না থাকলেও, মিছিলের প্রথমসারিতে ছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি, বোলপুরের কাউন্সিলর শেখ ওমর-সহ আরও অনেকে। 

মিছিল যখন বিশ্বভারতীর মেলার মাঠের কাছে পৌঁছয়, তখন এলাকায় নির্বিচার ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। চোখের নিমেষে  ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাঁচিল নির্মাণের সামগ্রী, এমনকী ঠিকাদারের অস্থায়ী অফিসের টেবিল-চেয়ার ফ্যানও। বাদ যায়নি মেলার মাঠের স্থানীয় বাতিস্তম্ভগুলিও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুটি থানা থাকা সত্ত্বেও ঘটনার সময়ে মেলা মাঠে কোনও পুলিশকর্মীকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল সরকারি ভবন, নিখোঁজ দু'জন শ্রমিক

এই ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্বভারতীর সমস্ত বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি, কাউন্সিলর ওমর শেখ- ন'জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয় বোলপুর থানায়। খাতায়-কলমে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু জড়িত থাকা তো দূর, ভাঙচুরের সময়ে পৌষমেলার মাঠে ধৃতেরা আদৌ হাজির ছিলেন না তো? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

এদিকে বিশ্বভারতীতে ভাঙচুর আদালতে হস্তক্ষেপে চেয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেব এক ব্যক্তি। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে কীভাবে বহিরাগতরা ঢুকল, তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। প্রয়োজন আদালতের নজরদারিতে বিশেষ কমিটি গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।

Share this article
click me!