মোটরবাইক রাখা নিয়ে পুলিশ ও উকিলের মধ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকায়। রায়গঞ্জ আদালতের এক আইনজীবীকে গালিগালাজ ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে ঠিক আদালত চত্বরের আশপাশে।
মোটরবাইক (Bike) রাখা নিয়ে পুলিশ (Police) ও উকিলের (Advocate) মধ্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের মোহনবাটি এলাকায়। রায়গঞ্জ আদালতের (Raiganj Court) এক আইনজীবীকে গালিগালাজ ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের (Police Constable) বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে ঠিক আদালত চত্বরের আশপাশে। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে রায়গঞ্জ আদালতের সামনে মোহনবাটি এলাকায় নেতাজি সুভাষ রোডে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন। বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি।
কোর্ট চত্বরে পুলিশ ও উকিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু, এবার আদালত চত্বরেই সামান্য বাইক রাখা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়। আজ সকালে রায়গঞ্জ আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের পতাকা নিলেই মিলবে জব কার্ড, চাঁচলে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর অডিও ঘিরে বিতর্ক
দিনের ব্যস্ততম সময়ে যানজটে অবরুদ্ধ থাকে রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকার নেতাজি সুভাষ রোড। কর্তব্যরত রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতিদিনের মতো সোমবারও দুপুরের ব্যস্ত সময়ে যানজট সামলাচ্ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার-সহ ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলরা। সেইসময় রায়গঞ্জ আদালতের শুভঙ্কর রায়চৌধুরী নামে এক আইনজীবী রাস্তার ধারে তাঁর মোটরবাইকটি রাখেন। এদিকে তাঁকে সেখান থেকে বাইক সরিয়ে নিতে বলেন এক মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১, কেন খুন- জানালেন ফিরহাদ
বাইক রাখা নিয়ে তাঁদের মধ্যে সামান্য বচসাও হয়। এরপর ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে আইনজীবীকে ঝগড়া করতে দেখে এগিয়ে যান এক ট্রাফিক কনস্টেবল। অভিযোগ, সেই সময় নারায়ণ সরকার নামে এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল তেড়ে গিয়ে আইনজীবীকে ধাক্কাধাক্কি করেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুন- জল তুলতে গিয়ে বোমার আঘাতে জখম ২ মহিলা, বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাটপাড়া
ততক্ষণে এই ঝামেলার খবর পৌঁছে যায় আদালত চত্বরে। সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মীকে সাহায্য করতে এবং পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদ করতে আদালত থেকে বেড়িয়ে যান আইনজীবীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যানজট তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল নারায়ণ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।