সংক্ষিপ্ত
বিশ্বজিৎ দাস তাঁর বুথের এক বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী মনোজ সাহাকে ফোনে বলছেন, 'জব কার্ড পেতে হলে হাতে তুলে নিতে হবে তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূলে যোগদান করলেই শুধু জব কার্ড নয় মিলবে বাংলা আবাস যোজনার ঘর থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা।'
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC Flag) ঝান্ডা ধরলেই মিলবে জব কার্ড (Job Card)। মিলবে আবাস যোজনার ঘরও। রাজ্য সরকারের (State Govt) সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে গেলে শুধুমাত্র হাতে তুলে নিতে হবে তৃণমূলের ঝাণ্ডা। মালদহের (Maldah) চাঁচোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী তথা তৃণমূল নেতা (TMC Leader) বিশ্বজিৎ দাসের ভাইরাল অডিও ঘিরে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও (BDO)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
মালদহের চাঁচলের তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা রাখি কর্মকার দাস। তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ দাস তাঁর বুথের এক বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী (BJP Worker) মনোজ সাহাকে ফোনে বলছেন, 'জব কার্ড পেতে হলে হাতে তুলে নিতে হবে তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূলে যোগদান করলেই শুধু জব কার্ড নয় মিলবে বাংলা আবাস যোজনার ঘর থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা।' তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর এই ফোন রেকর্ডিং ভাইরাল হয়ে গিয়েছে (সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)। আর তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১, কেন খুন- জানালেন ফিরহাদ
বিজেপি কর্মী মনোজ সাহা ও তাঁর স্ত্রী
এই বিষয়েও বিজেপি কর্মী মনোজ সাহা বলেন, "আমি বিজেপি করি, বিজেপি করার কারণেই আমাকে সরকারি সমস্ত প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রেখেছেন এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় আমার ঘরের নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেই ঘর মেলেনি। জব কার্ডের জন্য তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফোন করলে তিনি আমাকে বলেন তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরলেই আমাকে তিনি জব কার্ড এবং বাংলা আবাস যোজনার ঘর দেবেন। তবে আমি তাঁর প্রস্তাবে রাজি হইনি।" যদিও সব ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, "এ সব আমি কিছুই বলিনি।"
আর এই অডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির মালদহ জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, "বিজেপি করা কি অপরাধ। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দল দেখে মানুষকে পরিষেবা দেবেন। এটা সত্যি লজ্জার। এ বিষয়ে আমরা বিডিও-র দ্বারস্থ হব।" এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, "বাংলার প্রত্যেকটি মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মানুষ। সরকারি সুবিধা থেকে কোনও মানুষ বঞ্চিত হবেন না। দলের কেউ যদি এই ধরনের মন্তব্য করেন তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।"
আরও পড়ুন- জল তুলতে গিয়ে বোমার আঘাতে জখম ২ মহিলা, বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাটপাড়া