খড়্গপুর আইআইটি-র কোয়ার্টার থেকে অধ্যাপকের পচা গলা দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

খড়্গপুর আইআইটি কোয়ার্টার থেকে অধ্যাপকের পচা গলা কঙ্কাল দেহ উদ্ধার, প্রায় দু'মাস খোঁজ রাখেনি কেউ আইআইটির ওই অধ্যাপকের।  শোকস্তব্ধ এবং খানিকটা আতঙ্কিত দেশের এই অন্যতম বিজ্ঞানের উৎসস্থল, আইআইটি খড়গপুর।

 

Web Desk - ANB | Published : Feb 25, 2022 6:11 AM IST / Updated: Feb 25 2022, 11:46 AM IST

খড়্গপুর আইআইটি কোয়ার্টার থেকে অধ্যাপকের পচা গলা কঙ্কাল দেহ উদ্ধার। চরম অমানবিক ঘটনা ঘটল দেশের অন্যতম বিজ্ঞানের ক্যাম্পাসে। প্রায় দু'মাস খোঁজ রাখেনি কেউ আইআইটির ওই অধ্যাপকের ( Kharagpur IIT Professor )। এরপর খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে নিজের কোয়ার্টার (বি- ৫৮ আইআইটি) থেকে ওই অধ্যাপকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শোকস্তব্ধ এবং খানিকটা আতঙ্কিত দেশের এই অন্যতম বিজ্ঞানের উৎসস্থল, আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আইআইটি কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে খড়্গপুর টাউন থানার তরফে  খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে নিজের কোয়ার্টার (বি- ৫৮ আইআইটি) থেকে ওই অধ্যাপকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে মৃত অধ্যাপকের নাম সতীনাথ ভট্টাচার্য এবং বয়স আনুমানিক ৫২ বছর। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। নিজের কোয়ার্টার থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত প্রায় দু'মাস ধরে তাঁর কোনও খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। ডিপার্টমেন্টে যাওয়া আসা বন্ধ ছিল। লকডাউনের পর ডিপার্টমেন্ট খুলে যাওয়ার পরেও ক্লাসে না যাওয়ায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাঁর খোঁজখবর চালাচ্ছিল। অবশেষে, পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ সকলের উপস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাড়ি খুলে পচা-গলা দেহ উদ্ধার করেছে।

আরও পড়ুন, IIT-Mandi Director Row: ভূত তাড়িয়েছিলেন আইআইটির ডিরেক্টর, ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র বিতর্ক

আরও পড়ুন, কখন কী খবর আসবে, ঘুম উড়েছে ইউক্রেন আটকে যাওয়া বাংলার ৩ ডাক্তারি পড়ুরার পরিবারের

তবে প্রশ্ন উঠেছে, লকডাউনের পর ডিপার্টমেন্ট খুলে যাওয়ার পরেও ক্লাসে তিনি যখন আসেননি, তিতি তাহলে ছিলেন কোথায়। দেশের এই অন্যতম বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠানে এমন ভয়াবহ খবর আগে তেমনটা শোনা যায়নি। সারা দেশেরই পড়ার চাপে বা অন্যান্য কারণে কিছু আত্মহত্য়ার খবর এসেছে বটে , দীর্ঘ দুই কোভিড বর্ষে। কিন্তু এভাবে রহস্য মৃত্যু, তাও আবার আইআইটি ক্যাম্পাসে, এমন খবরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসেও। প্রথমত প্রশ্ন উঠেছে ওই অধ্যাপকের কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।যদিও পুলিশের দাবি, অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে আরও যে প্রশ্নগুলি উঠে এসেছে, যদিও এটি  স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়ে থাকে, তাহলে কী এতদিন তা প্রকাশ্যে আসেনি। এবং ওই পচা-গলা মৃতদেহের গন্ধ এতদিন কেউ কী করে পেল না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হোস্টেল -ক্যাম্পাসও তো খুলে গিয়েছে অনেকদিন। এতদিন কেউ কি যায়নি, ওই অধ্যাপকের ঘর অবধি খবর নিতে। তবে ইতিমধ্যেই ওই অধ্যাপকের  দেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, অধ্যাপকের পরিবারের কেউ নেই, খোঁজখবর নেওয়ার কেউ ছিল না। তবে, আইআইটি কর্তৃপক্ষ এত দেরি করে খোঁজখবর শুরু করায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ মুখ খোলেননি।

Share this article
click me!