সংক্ষিপ্ত


আইআইটি-মান্ডির (IIT-Mandi) নবনিযুক্ত ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহেরা (Laxmidhar Behera)। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video) তাঁকে নিজে হাতে ভূত তাড়ানোর (Exorcism) কথা বলতে শোনা গিয়েছে। 

দেশের তো বটেই, গোটা বিশ্বেই অন্যতম সেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ভারতের আইআইটি-গুলি। আর তাদের মধ্যে অন্যতম, আইআইটি-মান্ডি (IIT-Mandi)। কিন্তু, এই এলিট শিক্ষাকেন্দ্রের মাথাতে কি বসানো হল এক ভূতের ডাক্তারকে? সম্প্রতি আইআইটি-মান্ডির নবনিযুক্ত ডিরেক্টর লক্ষ্মীধর বেহেরার (Laxmidhar Behera) একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল (Viral Video) হওয়ার পর এই বিতর্কিত প্রশ্ন উঠে এসেছে। যে ভিডিওতে তিনি শুধু ভূতের অস্তিত্বের কথাই স্বীকার করেননি, তাঁকে নিজে হাতে ভূত তাড়ানোর (Exorcism) কথা বলত শোনা গিয়েছে। এক ইউটিউব (YouTube) চ্যানেলে প্রথমে ভিডিওটি আপলোড করা হলেও, বর্তমানে ভিডিওটিকে 'প্রাইভেট' করে দেওয়া হয়৷

কি রয়েছে ওই ভিডিওটিতে? পাঁচ মিনিটের এই ভিডিও ক্লিপে লক্ষ্মীধর বেহেরা দাবি করেছেন, তাঁর এক বন্ধুর বাবা-মা এবং তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টকে 'প্রেতাত্মা'র হাত থেকে মুক্ত করতে ১৯৯৩ সালে তিনি চেন্নাই (Chennai) গিয়েছিলেন। ভিডিওতে, তিনি দাবি করেন, ওই বন্ধুর পরিবারে ভূতের (Ghost) উপদ্রব ছিল। কীভাবে বুঝলেন তিনি ভূতের অস্তিত্ব? লক্ষ্মীধর বলেছেন, তিনি তাঁর বন্ধুর বাবাকে 'ভৌতিক নাচ' করতে দেখেছিলেন। তা দেখেই অনুভব করতে পেরেছিলেন, তিনি অশুভ আত্মা সম্পূর্ণরূপে তাঁকে গ্রাস করেছে। সেই ভূত তিনি তাড়ালেন কী করে? ভিডিও ক্লিপে লক্ষ্মীধর বলেছেন, তিনি 'হরে রাম, হরে কৃষ্ণ' জপ করেছিলেন। পাশাপাশি ভগবদ্গীতার (Shrimad Bhagwat Geeta) চিন্তাভাবনা এবং প্রজ্ঞা সম্পাদন করতে শুরু করেছিলেন। তাতেই ভূত মুক্ত হয়েছিল তাঁর বন্ধুর বাবা-মা এবং বাসস্থান। 

আরও পড়ুন - সাদা শাড়ি পরা মহিলা থেকে মৃত চন্দন-দস্যু বীরাপ্পান - ভারতের এই রাস্তাগুলিই সবথেকে ভুতুড়ে

আরও পড়ুন - Teresita Basa: মৃতের আত্মা ধরিয়ে দিয়েছিল খুনীকে, গা ছমছমে তেরেসিটা বাসা হত্যাকান্ড

আরও পড়ুন - Mysterious CCTV Footage: গয়নার দোকানে 'ভূত', নিমেষে ঘুম কাড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের

ভিডিওটি লার্ন গীতা, লিভ গীতা (Learn Gita Live Gita) নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে। চ্যানেলটি গীতার মতে জীবন যাপন করা আইআইটির সঙ্গে যুক্তদের প্রকল্প বলে, দাবি করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সমাজের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য, এই আইআইটি গ্র্যাজুয়েটরা স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের পাশাপাশি কর্মরত পেশাদারদের মধ্যে ভগবদ্গীতার শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। ব্যস্ত সমাজে পদ্ধতিগতভাবে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রচার এবং জীবনের মূল্যবোধের ভারসাম্যহীনতা যাচাই করার জন্য এবং বিশ্বে সত্যিকারের ঐক্য ও শান্তি স্থাপনের জন্য, সমস্ত মানুষকে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান তাঁরা।

ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর, লক্ষ্মীধর বেহেরা দাবি করেছেন, ভূতের অস্তিত্ব রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কিছু কিছু ঘটনা আছে, যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় না। তিনি এর আগে আইআইটি-কানপুরের (IIT-Kanpur) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। রোবোটিক্স (Robotics) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) নিয়ে বিশেষ কাজ রয়েছে তাঁর। তার আগে তিনি আইআইটি-কানপুরের ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমস অ্যান্ড কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির প্রধান ছিলেন। ২০০১ সাল থেকেই তিনি আইআইটি কানপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয় রাঘবন, আইআইটি-হায়দরাবাদের চেয়ারম্যান বিভিআর মোহন রেড্ডি, আইআইটি কাউন্সিলের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণন, আইআইটি-মান্ডির চেয়ারম্যান প্রেম ব্রত, তৎকালীন উচ্চ শিক্ষা সচিব অমিত খারে এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বাছাই কমিটিই তাঁকে আইআইটি-মান্ডির ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করেছে।