পুলিশ ও জামিনে মুক্ত যুবকের পরিবারের সদস্য, গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে রীতিমতো পুলিশের লাঠি চার্জ করতে হয়েছে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি মিনারুল ইসলাম। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে আসার পথে ওই পঞ্চায়েত সদস্য জানান," হঠাৎই গ্রামের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে যাই ঘটনাস্থলে।'
ধুন্ধুমার কান্ড। অবশেষে বিয়ে বাড়ি (Wedding) পরিণত হল রণক্ষেত্রে।জামিনে মুক্ত বিচারাধীন যুবককে একমাত্র বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানের আসর থেকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল পুলিশ (Police)। তাতেই শুরু হয় সমস্যা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের সঙ্গে বচসা থেকে সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আটরশিয়া এলাকায়।
পুলিশ ও জামিনে মুক্ত যুবকের পরিবারের সদস্য, গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে রীতিমতো পুলিশের লাঠি চার্জ করতে হয়েছে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি মিনারুল ইসলাম। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে আসার পথে ওই পঞ্চায়েত সদস্য জানান," হঠাৎই গ্রামের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে যাই ঘটনাস্থলে।' তারপরে দেখেন বিচারাধীন এক যুবককে ধরতে এসে পুলিশের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের তুমুল বচসা চলছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেখে তিনি হস্তক্ষেপ করেন। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থামাতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর ভাইকেও মারধর করা হয়েছে।
এদিকে মাদক মামলায় অভিযুক্ত ওই যুবক বাবর আলি কে শেষ পর্যন্ত আটক করে নিয়ে যাওয়ার পথে তার পরিবারের মহিলা ও পুরুষ সদস্য সহ একাধিক জন পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন বলেই অভিযোগ। এদের মধ্যে আলিয়ারা বিবির আঘাত গুরুতর বলেই জানান হয়েছে। বাবর এর ছোট ভাই ওমর আলিও চোট পেয়েছেন। শুধু তাই নয় ওই সংঘর্ষে পরিবারের অন্যান্য সদস্য আশরাফ আলি বদল সেখ ,মোশারফ সেখ, আকবরের বাড়িতে পুলিশ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
বিয়ের আসরের আয়োজনে অতিথি আপ্যায়নের জন্য প্যান্ডেল থেকে শুরু করে চেয়ার ,টেবিল, বাড়ির আসবাবপত্র বাইকও দেদার ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। এ ব্যাপারে জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক বলেন," পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে"। জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত বাবর আলি সপ্তাহ খানেক আগে একমাত্র বোনের বিয়েতে যোগ দিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। বোনের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, স্থানীয় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী বাবরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার বাড়িতে এসে হাজির হয়। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে রীতিমতো বচসা বাধে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে তাদের এই বচসা থেকে লাঠিচার্জ শুরু হয়ে যায়। বাবর কে তুলে নিয়ে যেতে বাধা দিতে এগিয়ে আসে সম্পর্কে তার দুই জামাইবাবু মনোজ শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখ। পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করায় তাদের কে আটক করা হয়। এদিকে শেষ পাওয়া খবরে বাবরের পরিবারের তরফে জানা যায় গ্রামের প্রতিবেশীদের সহায়তায় কোনরকমে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। বাবরের স্ত্রী হাসিবা বিবি পুরো ঘটনাই স্তম্ভিত।
Budget 2022: বাজেটে বড় ঘোষণা ই-পাসপোর্ট, আপনার জন্য রইল নতুন এই পাসপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
COVID-19: ওমিক্রনের নতুন রূপ আসলের তুলনায় ভয়ঙ্কর, সাবধান করলেন বিশেষজ্ঞরা
'আপনি কবে সাংসদ পদ থেকে অবসর নেবেন', হালকা মেজাজে সৌগত রায়কে প্রশ্ন মোদীর