সংক্ষিপ্ত
ধানমন্ত্রী ও সৌগত রায়ের সঙ্গে একটি আকর্ষণীয় কথোপকথন হয়েছিল। সৌগত রায় বরাবরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যে সুযোগ পেলে রসিকতা করতে ছাড়েন না তা আবারও এদিন স্পষ্ট হয়।
মঙ্গলবার ছিল বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) দ্বিতীয় দিন। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বাজেট পেশ করেন। দিনভরই সংসদে (Parliament) ফুটে উঠেছিল প্রবল ব্যস্ততার ছবি। কিন্তু তারই মধ্যে অন্য মেজাজে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)। এই রাজ্যে বিজেপি মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের (TMC MO Saugata Roy) সঙ্গে একপ্রস্থ মজা করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
মঙ্গলবার বাজেট পেশের পরই লোকসভা অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়েলে নেমে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেই সময় তিনি কথা বলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে। কথা বলেন ন্যানাশান কনফারেন্স নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকে নেতা ডি রাজা ও মাহারাষ্ট্রের অমরাবতীর নির্দল প্রার্থী নবনীত কৌর নরানার সঙ্গে। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের সঙ্গেও।
সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী ও সৌগত রায়ের সঙ্গে একটি আকর্ষণীয় কথোপকথন হয়েছিল। সৌগত রায় বরাবরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যে সুযোগ পেলে রসিকতা করতে ছাড়েন না তা আবারও এদিন স্পষ্ট হয়।
এই রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিয়ে রাজ্যসরকার আর রাজভবনের বিবাদ দিল্লিরও অজানা নয়। এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই সৌগত রায় সরাসরি নালিশ জানাতে জানন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন রাজ্যপাল রাজ্যে অশান্তি তৈরি করছেন। তাঁকে এবার অপসারণ করা উচিৎ। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে জিজ্ঞাসা করেন এমপি পদ থেকে সৌগত রায় কবে অবসর নেবেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সৌগত রায় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন ও অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তবে তিনি রাজ্যপালের মেয়াদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী তখন সৌগত রায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি সাংসদ পদ থেকে কবে অবসর নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ সোমবারই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের টুইটার ব্লক করে দিয়েছেন। মমতার অভিযোগ রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল অনৈতিক ও অসংবিধানিক। পাল্টা রাজ্যপাল বলেছিলেন সাংবিধানিক কর্মীদের মধ্যে আলোচনা ও সম্প্রীতি গণতন্ত্রের একটি অংশ ও সংবিধানেও এমন নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর মোদীর বক্তব্য ছিল সংসদের ভিরতে ও বাইরে রাজনৈতিক লড়াইয়ের একটি হালকা কথাবার্তার অঙ্গ।
Budget 2022: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের উপযোগী, বাজেট পেশের পর অর্থমন্ত্রী নির্মলার প্রশংসা শিল্পপতিদের
Budget 2022: বাজেটে বড় ঘোষণা ই-পাসপোর্ট, আপনার জন্য রইল নতুন এই পাসপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
COVID-19: ওমিক্রনের নতুন রূপ আসলের তুলনায় ভয়ঙ্কর, সাবধান করলেন বিশেষজ্ঞরা