নওদায় দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূল নেতা খুনের পর থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে চলছে অস্ত্র মাফিয়া ও কারবারিদের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে। আর সেই তল্লাশিতেই প্রমাণিত হয়ে গেল, কার্যত বিস্ফোরক এবং অস্ত্রের স্তূপের উপরে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দুই থানাএলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিহরপাড়া ও সুতি থানা এলাকা থেকে বস্তায় ভর্তি মোট পঁচিশ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও তল্লাশিতে মিলেছে বোমা এবং অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র,কার্তুজ। এই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দু' হাজার, পাঁচশো নয়, বাংলায় এবার পঞ্চাশ, দুশোতেও জাল নোটের বিপদ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার হরিহরপাড়া থানার পুলিশ গাড়িনামা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তিন অস্ত্র কারবারি ইংরেজ শেখ,মহিত শেখ ও সান মহম্মদ ওরফে শানুকে। ধৃতদের বাড়ি স্থানীয় সদানন্দপুর গ্রামে। তাদের কাছ থেকে মাসকেট, পাইপগান, সেভেন এমএম ও নাইন এমএম পিস্তল- সহ মোট পাঁচটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও আটটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়।ধৃতদের বহরমপুর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৭ সেপ্টেম্বর
অন্যদিকে সুতি থানার জগতাই মোড় থেকে পুলিশ বস্তা ভর্তি পঁচিশ কেজি বিস্ফোরক সহ মোট চারটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায় ,ধৃতদের নাম রফিকুল শেখ ও সুব্রত দাস । ধৃতদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু' জনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কী উদ্দেশ্যে এই বিপুল বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই অস্ত্র এবং বিস্ফোরক এ রাজ্যে ঢুকছে কি না, তাও জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। গত কয়েকমাসে মুর্শিদাবাদ জেলায় শাসক দলের একাধিক নেতাকে খুন করা হয়েছে। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।