ভিসা-পাসপোর্টের বালাই নেই। ট্রেনে চেপে ভারতে চলে এসেছিল সে। লকডাউনের বাজারে স্থানীয় এক ব্যক্তির তৎপরতায় বাংলাদেশের এক শিশুকে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে।
বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। বাবা-মায়ের বকুনির ভয়ে দু'দিন বাড়ির বাইরে ছিল বছর দশেক ওই শিশু। তারপর ট্রেনে চেপে চলে আসে এ রাজ্যে। কাজও জুটে যায় শিয়ালদহের এক চায়ের দোকানে। এভাবেই কেটে গিয়েছে বছর খানেক। কিন্তু করোনা সতর্কতায় লকডাউন জারি হতেই ঘটে বিপত্তি। চায়ের দোকান বন্ধ, দিন কাটছিল কার্যত অনাহারে। খাবারের সন্ধানে শুরু হয় এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি।
আরও পড়ুন: অদম্য সাহসেই বাজিমাত, তামিলনাড়ু থেকে সাইকেল চালিয়ে ফিরলেন ডায়মন্ড হারবারের যুবক
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের চণ্ডীপুরে এলাকায় এক মহিলাকে নিজের মা ভেবে বসে শিশুটি। তাঁর গলা জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করে সে। কী ব্যাপার? হাসেম আলি বৈদ্য নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘটনাটি জানান ওই মহিলা। ওই শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান হাসেম। নতুন জামা-প্যান্ট পরিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। শিশুটি জানায়, তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আকবর শাহ থানার পাশে। কিন্তু আকবর শাহ থানায় যখন যোগাযোগ করা হয়, তখন সেখানকার পুলিশ আধিকারিকর বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। অন্তত তেমনই দাবি হাসেম আলির। তবে বাংলাদেশ চাইল্ড লাইনের তরফে কিন্তু ইতিবাচক সাড়া মেলে। তাঁদের পরামর্শে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা চাইল্ড লাইনের দপ্তরে খবর দেওয়া হয়। তাতেই কাজ হয়।
আরও পড়ুন: কাটল 'অচলাবস্থা', রামপুরহাট স্টেশনে ভবঘুরেদের জায়গা দিল আরপিএফ
ভাঙড় খানার বারজুলি গ্রামে হাসেম আলি বৈদ্যের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। বস্তুত, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ছেলের সঙ্গে কথাও বলেছেন ওই শিশুটির বাবা-মা। চাইল্ড লাইন সূত্রে খবর, আপাতত কয়েকদিন হোমে রাখা হবে শিশুটিকে। তারপর বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে তাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।