এনআরসি আতঙ্কে আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধন করতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শেষপর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশ। সোমবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটে।
ঘটনা ঠিক কী? দিন কয়েক আধার কার্ড সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় রামপুরহাট প্রধান ডাকঘরের তরফে। কিন্তু ডাকঘরে এলেই যে কাজ হয়ে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যাঁরা লাইনে দাঁড়াবেন, তাঁদের হাতে একটি চিরকুট দেওয়া হবে। সেই চিরকুটে লেখা থাকবে, নতুন আধার কার্ড তৈরি বা সংশোধনের জন্য কবে ও কখন আসতে হবে। জানা গিয়েছে, রবিবার ভোররাত থেকেই রামপুরহাট প্রধান ডাকঘরের সামনে ভিড় করেন বহু মানুষ। বেলা যত বাড়তে থাকে, ভিড়ও ততই বাড়তে থাকে। শেষপর্যন্ত ডাকঘর দরজা খোলে, তখন রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় ডাকঘরের সামনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। তবে বড় কোনও অঘটন ঘটেনি। রামপুরহাট প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার সালিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, প্রতিদিন ২০ জনকে আধার কার্ড দেওয়া হবে। নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। লাইনে দাঁড়ানোর হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাছ কাটা রুখতে অভিনব পন্থা, বটের সঙ্গে পাকুড় গাছের বিয়ে
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই আধার কার্ড সংশোধন করাকে কেন্দ্র কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় মালদহ শহর। লম্বা লাইন তো ছিলই, ভিড়ের চাপে রীতিমতো পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়ে, প্রধান ডাকঘরের সামনে। অসুস্থ হয়ে পড়ে মহিলা ও শিশু-সহ বেশ কয়েকজন।