গাছ কাটা রুখতে অভিনব পন্থা, বটের সঙ্গে পাকুড় গাছের বিয়ে

  • আছে ছায়া মন্ডপ, আছে বাজনা বাদ্যি
  •  মন্ত্রোচ্চারণের জন্য ছিল পুরোহিতও
  • বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে গাছের বিয়ে
  • বট গাছের সঙ্গে পাকুড় গাছের বিয়ে দিল গ্রামবাসী

 

Asianet News Bangla | Published : Feb 17, 2020 1:47 PM IST / Updated: Feb 25 2020, 11:23 AM IST

আছে ছায়া মন্ডপ,আছে বাজনা বাদ্যি থেকে শুরু করে মন্ত্রোচ্চারণের জন্য পুরোহিতও। বরযাত্রী যেমন এসেছে তেমনি তৈরি হয়ে রয়েছেন কন্যাপক্ষও বিশালাকার প্যান্ডেলে রয়েছে হাজার নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন ও ভুঁড়িভোজের ব্যাবস্থাও। গ্রামের একমাত্র পাত্র ও একমাত্র পাত্রীর বিয়ে বলে কথা! এবার জেনে নেওয়া যাক এই বিয়ের পাত্র ও পাত্রীর পরিচয়। 

কী গল্প কলকাতাকে শোনাল রোবট কন্যা সোফিয়া, দেখুন সেরা ১২ ছবি

পাত্রএলাকার প্রাচীন একটি বট গাছ আর পাত্রী তারই সাথে জড়িয়ে থেকে বড় হয়ে ওঠা পাকুড় গাছউত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনিতে বসেছে বট পাকুড়ের বিবাহ বাসরহৈহুল্লোড়, খাওয়া দাওয়া নাচ গানে মেতে উঠলেন শান্তি কলোনিরবৃদ্ধ,বনিতামেয়ে,বৌয়েরা দল বেঁধে  নদীতে জল ভরতে যাওয়া থেকে শুরু করে মন্দিরে পূজো দেওয়া এমনকি বিয়ের রীতি মেনে নারায়ণ সাক্ষী রেখে নতুন কাপড় পরিয়ে বিয়ে দিলেন বট পাকুড়ের।   বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে  ও সমাজে বৃক্ষচ্ছেদন প্রতিরোধ এবং বৃক্ষরোপণের বার্তা দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে এলাকার বাসিন্দারা এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, স্থানীয় পুরসভা থেকে জেলা প্রশাসন।

থমকালো পেট্রোলের দাম, মুখভার গাড়ি চালকদের
 
বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে বট - পাকুড়ের বিয়ের মাধ্যমে বৃক্ষচ্ছেদন প্রতিরোধ ও বৃক্ষরোপণের বার্তা দিল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের শান্তি কলোনির বাসিন্দারারীতিমতো সমস্তরকম নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মেতে উঠলেন বিয়ের আনন্দ অনুষ্ঠানেশান্তি কলোনির বাসিন্দাদের দাবি যেভাবে মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে কংক্রিটের জঙ্গল গড়ে তুলছে তাতে বিশ্ব উষ্ণায়ন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর মোকাবিলা করতে একমাত্র প্রয়োজন বৃক্ষচ্ছেন প্রতিরোধ করে বেশি করে বৃক্ষরোপণ  করা।মানুষের কাছে সেই বার্তা দিতেই এলাকার দুটি প্রাচীন বট ও পাকুর গাছের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠান করা হলশান্তি কলোনিতে বট পাকুড়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে খাওয়া দাওয়া আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেন  আট থেকে আশি সকলেই।
 
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা গনেশ কর্মকার জানিয়েছেন, “ বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার থেকে মাঝেমধ্যেই প্রচার করা হয়ে থাকে।এলাকায় আমাদের একটি ক্লাব রয়েছে।আমরা এর মধ্যে একদিন এই নিয়ে আলোচনা করছিলাম।হঠাত করেই আমাদের এই প্ল্যান আসে।আমরা সিদ্ধান্ত নেই বিশ্ব উষ্ণায়ন ও বৃক্ষচ্ছেদনের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচারের জন্য আমরা অভিনব একটি উদ্যোগ নেব।ওই পরিকল্পনা থেকেই আমরা প্রাচীন রীতি মেনে বট-পাকুড়ের বিয়ের মাধ্যমে এই প্রচার করব বলে সিদ্ধান্ত নেই।

তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকভাবে করা হলে মানুষ সহজেই তাতে আকৃষ্ট হবে। এতে সচেতনতার প্রচারে আমাদের সুবিধেই হবে। এলাকার বাসিন্দারা এই কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেদের সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করেছেন। কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও এই ব্যাপারে আর্থিক সাহায্য করেছেন। পুরসভাও সাহায্য করেছে।বিয়ের মণ্ডপ ও খাওয়ার জায়গাতে আমরা এই ব্যাপারে সচেতনতার প্রচার করেছি।’
এ বিষয়ে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পাল জানিয়েছেন,“পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দারা যে অভিনব উপায়ে সচেতনতার প্রচার করেছেন, তা অনবদ্য। আমি নিজে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।তাদের এই উদ্যোগে পুরসভার পক্ষ থেকেও সাহায্য করা হয়েছে।’

Share this article
click me!