কিডনির সমস্যায় জর্জরিত মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিক, তৃণমূল নেতার সহায়তায় মিলল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড

এই খবর কানে যেতেই সোমবার সকালে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ওই শ্রমিকের বাড়িতে যান। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 13, 2021 1:05 PM IST

দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। টাকা না থাকায় চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। এদিকে মিলছে না স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও। এই খবর কানে পৌঁছাতেই ওই অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা বুলবুল খান ও সঞ্জীব গুপ্ত। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কাউয়ামারী গ্রামের।

অসুস্থ ওই শ্রমিকের নাম হাসান আলি (৫০)। দুটি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। মিলছে না চিকিৎসার টাকা। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে আরও সমস্যায় পড়েছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ করার সামর্থ্য নেই। তবুও ছোটখাটো কাজ করেছে সংসার চালাবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু, দিন দিন সেই ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছেন। তাই চিকিৎসা করাতে না পেরে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। 

আরও পড়ুন- লটারি জেতার প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারিত জওয়ান, গ্রেফতার অভিযুক্ত

এই খবর কানে যেতেই সোমবার সকালে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ওই শ্রমিকের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্য়বস্থা করে দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র, স্নান বন্ধ রেখে দিঘায় জারি সতর্কতা

এ প্রসঙ্গে বুলবুল খান বলেন, "আমি এই ব্যক্তির অসুবিধার কথা জানতাম না। হরিশ্চন্দ্রপুরে অঞ্চল সভাপতি আমাকে এই শ্রমিকের অসুবিধার কথা জানায়। আমি আজ এঁর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে যা যা প্রয়োজন হবে আমরা তার ব্যবস্থা করব।"

আরও পড়ুন- টিকা পাঠায়নি কেন্দ্র, কলকাতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ

আর তৃণমূল নেতার এই সুবিধা পেয়ে খুশি হাসান আলি। তিনি বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছি। বাড়িতেই রয়েছি। রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টাকা নেই যে চিকিৎসা করাব। এই অবস্থায় আজ তৃণমূলের নেতা বুলবুল খান আমাকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন বাড়িতে এসে। আশা করছি আবার সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারব।"

Indian Coast Guard rescues about 500 boats from sea due to deep depression in Bay of Bengal RTB

Share this article
click me!