সংক্ষিপ্ত
এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ি করা হয়েছে পুরসভার তরফে। কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ কোভ্যাক্সিন না পাঠানোর জন্যই রাজ্যে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। তবে কোভ্যাক্সিন দেওয়া না হলেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আগের মতোই কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেই। তার উপর মাত্র এক মাস পরেই দুর্গা পুজো। অক্টোবরে দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতেই এবার টিকার আকাল দেখা দিল রাজ্যে। যথেষ্ট পরিমাণে কোভ্যাক্সিন টিকা নেই। সেই কারণে কলকাতা পুরসভার ৩৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ বন্ধ হল আজ থেকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই টিকাকরণ বন্ধ থাকছে বলে পুরসভার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ি করা হয়েছে পুরসভার তরফে। কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ কোভ্যাক্সিন না পাঠানোর জন্যই রাজ্যে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। তবে কোভ্যাক্সিন দেওয়া না হলেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আগের মতোই কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, প্রায় ৫০০ নৌকা উদ্ধার করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী
এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্র থেকে যতদিন না পর্যন্ত টিকা রাজ্যে এসে না পৌঁছাবে ততদিন কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ বন্ধ থাকবে। রাজ্যে টিকা আসার পর তা বণ্টন হয়ে কলকাতা পুরসভার কাছে এসে পৌঁছনোর পর ফের শুরু করা যাবে কোভ্যাক্সিন টিকা। কেন্দ্রীয় সরকার কোভ্যাক্সিন না পাঠানোর ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- শিয়রে তৃতীয় ঢেউ, তার মাঝেই বন্ধ মুর্শিদাবাদের লন্ডন মিশন হাসপাতাল
এদিকে এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। কারণ অনেকেই কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্সিনের ডোজ বন্ধ করে দেওয়ায় এখন তাঁরা কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না।
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র, স্নান বন্ধ রেখে দিঘায় জারি সতর্কতা
চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, করোনা প্রতিরোধের সবথেকে কার্যকর উপায় হল টিকাকরণ। এবার সেই টিকাকরণই ধাক্কা খেল। আর সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, কলকাতায় ৫০ লক্ষ টিকাকরণ সম্পন্ন করেছে। তবু করোনা সংক্রমণকে বাগে আনা সম্ভব হয়নি। যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহরে টিকাকরণ বন্ধ থাকলে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপর আবার সামনেই দুর্গা পুজো। হাতে আর এক মাসও বাকি নেই। শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। তার মধ্যেই টিকাকরণ বন্ধ হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ।