সংক্ষিপ্ত
কর্মসূত্রে বিধাননগরে বসবাস করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান যোগেন্দ্র সিংহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৭ জুলাই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। আর তারপরই নয়া কৌশলের একটি প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম পরিমল দে।
কর্মসূত্রে বিধাননগরে বসবাস করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান যোগেন্দ্র সিংহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৭ জুলাই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, অনলাইনে কিছু জিনিস কিনেছিলেন। অভিযোগ, ওই অনলাইন সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন। যোগেন্দ্র সিংকে জানান, অনলাইনে যে দ্রব্য তিনি কিনেছেন তার জন্য একটি লটারি জিতেছেন তিনি। যার পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা। তবে সেই টাকা পেতে তাঁকে কিছু প্রসেসিং করতে হবে।
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র, স্নান বন্ধ রেখে দিঘায় জারি সতর্কতা
এরপর সেই লটারির টাকা নিতে রাজি হয়েছিলেন যোগেন্দ্র। তার জন্য প্রসেসিং করতেও রাজি হয়ে যান তিনি। অভিযোগ, এরপরই অভিযুক্ত ফোনের মাধ্যমে তাঁকে বিভিন্নভাবে প্রসেসিং ফি দিতে বলেন। এভাবে তাঁর থেকে ৩৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত। টাকা হাতানোর পরই ফোন বন্ধ করে দিয়েছিল অভিযুক্ত। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দারস্ত হন যোগেন্দ্র।
আরও পড়ুন- টিকা পাঠায়নি কেন্দ্র, কলকাতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ
জওয়ানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। এরপর পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায় টাকা ট্রান্সফার হাওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে কয়েক লক্ষ টাকা লেনদেন হয় বলে জানতে পারে পুলিশ। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল পুলিশ নদিয়ায় যায়। আর সেখান থেকেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পরিমল দেকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- শিয়রে তৃতীয় ঢেউ, তার মাঝেই বন্ধ মুর্শিদাবাদের লন্ডন মিশন হাসপাতাল
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যক্তি অনলাইন শপিং প্লার্টফর্ম থেকে তথ্য জোগাড় করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে একই পদ্ধতিতে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করত। অভিযুক্তের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের তথ্য উদ্ধার করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই প্রতারণার সঙ্গে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে। এই ব্যক্তির সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সে কীভাবে তথ্য জোগাড় করত সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।