জায়গার নামের তালিকাটা লম্বা হচ্ছে ক্রমশই, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জল্পনাও। 'বাংলা ও বাঙালির আপনজন, আমার আপনার সবার প্রিয় বাংলার লড়াকু নেতা...' শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে এবার পোস্টার পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে। ঘটনাটিকে অবশ্য বিশেষ আমল দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ফের বিজেপির শুভেন্দু-বোমা, তৃণমূল ছাড়ছেন 'জননেতা' লকেট-অর্জুনের পর এবার কৈলাস
জল্পনা চলছিলই। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা এখন আরও বেশি করে উসকে দিচ্ছেন গেরুয়াশিবিরের নেতারাই। রবিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে এক জনসভায় বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, 'দিদি এখন নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন। দল পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে ভুয়ো সংস্থাকে। তৃণমূল শুভেন্দু অধিকারীর নয়। দলকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত তিনি।' বস্তুত, শুভেন্দু একা নন, সৌগত রায়-সহ তৃণমূলের পাঁচ সাংসদও যেকোনও সময়ে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন করতে প্রস্তত বলে দাবি করেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও। গেরুয়াশিবিরের অন্দরের খবর, মুকুল রায়ের পর শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় নেতা ও সংগঠক যদি দলে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে একুশের বিধানসভা ভোটের শক্তি বাড়বে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কী করবে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ২৬ নভেম্বর বামেদের ধর্মঘট, সমর্থনে হাওড়ায় মিছিল করল বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন
এসবের মাঝেই বারুইপুরের ফুলতলা পালপাড়া এলাকায় শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে বেশ কয়েকটি পোস্টার পড়ল। কারা পোস্টার লাগাল? তা এখনও স্পষ্ট নয়। পোস্টারে লেখা ছিল, 'বাংলা ও বাঙালির আপনজন আমার আপনার সবার প্রিয় বাংলার লড়াকু কর্মবীর, অগ্নি যুবক শুভেন্দু অধিকারী।' স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বলেন, 'শুভেন্দু আমাদের দলের নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী। ওর প্রিয় মানুষজন থাকতেই পারেন। তাঁরাই এই পোস্টার লাগাতে পারেন।' ঘটনাটিকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ দলের আর এক নেতা আশিষ দেব রায়ও।