হাইকোর্টে আবেদন খারিজ, তড়িঘড়ি ইস্তফা মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির

  • ইস্তফা দিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি
  • কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করেছে 
  • আইনি জটিলতার পর ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন 
  • তৃণমূলের দখলেই রইল বোর্ড

Asianet News Bangla | Published : Jul 6, 2021 12:25 PM IST / Updated: Jul 06 2021, 05:58 PM IST

আইনি জটিলতার মাঝে ইস্তফা দিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডল। কলকাতা হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করার পরই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

আরও পড়ুন- চাঁদা তুলে সাংসদের হাতে টাকার খাম তুলে দিল পুরুলিয়াবাসী - এ আবার কেমন প্রতিবাদ, দেখুন

মালদায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পরই শুভেন্দু অধিকারীর দৌলতে ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেসের থেকে জেলা পরিষদের দখল নিয়েছিল তৃণমূল। এরপর সেই শুভেন্দুর মাধ্যমেই একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদে ধাক্কা দিয়েছিল বিজেপি। মালদা জেলা পরিষদের মোট আসন ৩৮টি। যদিও ভোট হয়েছিল৩৭টি আসনে। একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেই আসনে ভোট স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ২৯টি আসন। বিজেপি পায় ৬টি আসন। কংগ্রেস পায় ২টি আসন। সভাধিপতি নির্বাচিত হন গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। সহ সভাধীপতি নির্বাচিত হয় চন্দনা সরকার। বিধানসভা ভোটে চন্দনা সরকার বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমুলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। 

আরও পড়ুন- দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ, পেট্রোল পাম্পে ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ তৃণমূল কর্মীদের

দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গৌর চন্দ্র মণ্ডল। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। গত মার্চে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন সদস্য যোগ দেন বিজেপিতে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির আসন দাঁড়ায় ২০টি। ম্যাজিক ফিগার ১৯। ফলত জেলা পরিষদে তাদের দখলে গিয়েছে দাবি করতে থাকে বিজেপি। তবে ভোটের পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন ৮ জন। এভাবেই ফের ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করে তৃণমূল। আর তারপরই সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। 

৮ জুলাই আস্থা বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অনাস্থায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গৌর চন্দ্র মণ্ডল। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই আদালতের তরফে গৌরবাবুর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আগামী ৮ জুলাই আস্থা বৈঠক হবে। 

আরও পড়ুন- আদালতে হাজিরার আগেই খুন রাজসাক্ষী, চাঞ্চল্য কুলপিতে

হাইকোর্ট রায় ঘোষণার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন গৌর চন্দ্র মণ্ডল। নিজের ইস্তফাপত্র পাঠান ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে। ইস্তফা প্রসঙ্গে গৌরবাবু বলেন, “দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা নির্দেশ দিয়েছে সেই কারণেই ইস্তফা দিলাম।” 

Share this article
click me!