মেধাতালিকার নামে ৪ ব্যাগ ভর্তি স্তূপাকার তথ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আবার তথ্য পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

টেট পরীক্ষার বেনিয়মের মামলায় ৪টি ব্যাগ ভর্তি করে মেধাতালিকা পাঠাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তড়িঘড়ি ফেরৎ পাঠিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি।

Sahely Sen | Published : Sep 1, 2022 1:43 PM IST / Updated: Sep 01 2022, 11:24 PM IST

প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে কতটা বেনিয়ম হয়েছে, তা জানতে টেট পরীক্ষার্থীদের কাট অফ মার্কসের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মতো ১ সেপ্টেম্বর আদালতে চার ব্যাগ ভর্তি মেধাতালিকা পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সেই তালিকার স্তূপ দেখামাত্র ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছেন পর্ষদের দফতরে। 

গত ১৬ অগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে টেট পরীক্ষার কাট অফ মার্কস (অর্থাৎ যত নম্বর পেলে প্রার্থীকে নিয়োগের যোগ্য বলে গণ্য করা হয়) এবং সংরক্ষণ তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হলফনামার আকারে তা পাঠানো হয় পর্ষদের কাছে। জবাবে বৃহস্পতিবার পর্ষদ চারটি ব্যাগ ভর্তি করে ২টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধা তালিকা জমা দেয় আদালতে। ২০১৬ এবং ২০২০ সালের ওই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে হওয়া টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওই নথি গ্রহণ না করলেও জানিয়ে দিয়েছেন, নথিগুলি নষ্ট করতে পারবে না পর্ষদ। এগুলি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

কেন মেধাতালিকা দেখলেন না, তার কারণ ব্যাখ্যা করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি টেটের মেধাতালিকা চাননি। নম্বর বিভাজন সহ মেধাতালিকা চেয়েছিলেন। যা দেখলে বোঝা যাবে, বাড়তি নম্বর পাওয়ার যোগ্য কারা ছিলেন। কিন্তু পর্ষদ সেই তালিকা জমা দেয়নি। মোট নম্বর অনুযায়ী যে তালিকা আদালতে পেশ করা হয়েছে তা দেখে কিছুই বোঝা সম্ভব নয়।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় গোলমাল ছিল এটাই যে, পরীক্ষায় দেওয়া ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য ওই বছরের টেট পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তবে এই নম্বর ২০১৬ সালের নিয়োগের সময় দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রার্থীদের ২ দফায় নিয়োগ হয়। ২০১৬ সালের পর আবার ২০২০ সালে। বাড়তি নম্বর দিয়ে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হয় এই দ্বিতীয় দফাতে। অভিযোগ, এই দ্বিতীয় দফার নিয়োগেই অনিয়ম হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে বাড়তি নম্বর পেয়ে কাট অফ মার্কস পেয়েছেন অযোগ্য প্রার্থীরাও। টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশ এই নিয়েই মামলা করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেট পরীক্ষার্থীদের কাট অফ মার্কস এবং সংরক্ষণের তালিকা চেয়েছেন।


আরও পড়ুন-
পর্তুগালে হাসপাতালের হয়রানিতে প্রাণ গেল ভারতীয় প্রসূতির, পদত্যাগ করলেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা
পদ্মশিবির ধুলিস্যাৎ, দিল্লির আস্থাভোটে কেজরীওয়ালের জয়জয়কার 
‘আমি বাড়িতেই আছি’ বোঝালেন মানিক, ‘এর পেছনে কী রহস্য!’ বুঝছেন না দিলীপ ঘোষ

Share this article
click me!