বিধানসভায় এতদিন যে আসন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবার সেই আসনটি ফাঁকাই থাকবে। আপাতত কোনও মন্ত্রীর জন্য সেটি বরাদ্দ করা হয়নি। এতদিন পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার সুবাধে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসনেই বসতেন। বিধানসভা সূত্রের খবর এবার এখনও পর্যন্ত কারও জন্য সেই আসনটি বরাদ্দ করা হয়নি।
সেপ্টেম্বরে স্বল্পকালীন অধিবেশন হবে রাজ্যবিধানসভায়। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফকারির পর রাজ্যের মন্ত্রিসভার রদবদল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপর এটাই হতে চলেছে প্রথম বিধানসভা অধিবেশন। বিধানসভায় এতদিন যে আসন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবার সেই আসনটি ফাঁকাই থাকবে। আপাতত কোনও মন্ত্রীর জন্য সেটি বরাদ্দ করা হয়নি। এতদিন পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার সুবাধে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসনেই বসতেন। বিধানসভা সূত্রের খবর এবার এখনও পর্যন্ত কারও জন্য সেই আসনটি বরাদ্দ করা হয়নি। সূত্রের খবর অদূর ভবিষ্যতেই সেই আসনটি কারও জন্য বরাদ্দ করা হবে না।
রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন। আর সেই কারণে রাজ্য বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বরাবর বসতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসনে। বর্তমানে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কারণে দলের ভাবমূর্তি যথেষ্টই কালিমালিপ্ত হয়েছে বলেও মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ। এই অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে থেকে দল ও মন্ত্রীত্ব সমস্ত জায়গা থেকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। মন্ত্রিসভাও ঢেলে সাজিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাই অনেকেই মনে করেছিলেন পদাধিকার বলে সেই আসন পেতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তা হয়নি। রাজ্যরাজনীতিতে কানাঘোষু শোনা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসনটি পেতে পারেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু তাও হয়নি। সূত্রের খবর আপাতত খালি রাখা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসন।
রাজ্যবিধানসভা সূত্রের খবর সেপ্টেম্বরে স্বল্পকালীন অধিবেশনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসনে কাউকেই বসতে দেওয়া হবে না- এটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এক আধিকারিকের কথায় আদূর ভবিষ্যতেও এই আসন কারও জন্য বরাদ্দ হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায় রাজ্য বিধানসভায় তিন জনের আসনের পাশের আসন সাধারণত কাউকে দেওয়া হয় নাষ তাঁরা হলেন, মুখ্যমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার আর মুখ্যসচেতক। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি খালি থাকত। তার পাশের আসনে বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই কোনও ভাবেই বলা যায় না যে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আসনটি খালি রয়েছে। তবে এটা বলা যাবে এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আর অন্য কোনও মন্ত্রী বসবেন না। যার অর্থ ব্লকে একাই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'ক্ষমতা থাকলে সাংসদ পদ ও সুবিধে ছেড়ে দেখান', জওহর সরকারকে চ্যালেঞ্জ সৌগত রায়ের
'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে
'কোনও কান্নাকাটি নয়-দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করুন', CEOর পরামর্শে তুলকালাম সোশ্যাল মিডিয়া