অভিভাবকদের অনড় মনোভাবে শেষপর্যন্ত হার মানল স্কুল কর্তৃপক্ষ। বোলপুরের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দিল পরিচালন সমিতি। আপাতত অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব সামলাবেন স্কুলের অন্য এক শিক্ষিকা। প্রিন্সিপালকে অপসারণের সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবক ও পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ে বাঙালি যুবকের রহস্যমৃত্যু, ঘরেই মিলল রক্তাক্ত দেহ
শীতের হাত বাঁচাতে বোলপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে লেগিংস পরে গিয়েছিল কয়েক ছাত্রী। তাঁদের দাবি, ড্রেস কোড লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে লেগিংস খুলে ফেলতে বলেন শিক্ষিকারা। লেগিংস খুলেও ফেলে তারা। স্কুল ছুটির পর ফের লেগিংসগুলি ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক ছাত্রী লেগিংস না পরেই বাড়ি চলে যায়। আর তা নিয়েই যত বিতর্ক। ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অর্ধনগ্ন করে রাখা-সহ একাধিক অভিযোগে থানায় এফআইআর করেন অভিভাবকরা। প্রিন্সিপালকে অপসারণেরও দাবিও ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সামনেই অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: সাপের বিষ নিয়ে বেআইনি কারবার, 'স্নেক সেভার'-এর বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা
এদিকে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন বীরভূমের জেলাশাসক। স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে কমিটির সদস্যরা। কথা বলেন শিক্ষিকাদের সঙ্গে। শুক্রবার বোলপুরে নিজের দপ্তরে অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। পোশাক বিতর্কে প্রিন্সিপালের অপসারণের দাবিতেই অনড় থাকেন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিচালন সমিতির সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। গোটা বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন বোলপুরের মহকুমাশাসক। শেষপর্যন্ত অবশ্য জয় হল অভিভাবকদেরই। তবে প্রিন্সিপালকে সাময়িকভাবে নাকি পাকাপাকিভাবেই সরানো হল, তা স্পষ্ট নয়।