ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে রায়গঞ্জ শহরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কুশপুত্তলিকা দাহ করে তারা।
ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, এবং সুদীপ রাহার উপর হামলার প্রতিবাদে রায়গঞ্জ শহরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কুশপুত্তলিকা দাহ করে তারা। রায়গঞ্জ শহরের ঘড়িমোড়ে আয়োজিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মাদ্রাসা বিষয়ক সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, করনদিঘির বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম পাল, হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন সহ রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার সহ অন্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কানাইয়ালাল অগরওয়াল বলেন, "ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখিয়ে আক্রমণ করে আটকানো যাবে না। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবেই।"
আরও পড়ুন- 'বিপ্লব দেব ভাবছেন ত্রিপুরায় আসতে তাঁর থেকে ভিসা নিতে হবে', আগরতলায় পৌঁছেই তোপ অভিষেকের
উল্লেখ্য, শনিবারই ত্রিপুরায় গিয়ে একদল দুষ্কৃতীর আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তরা। এর প্রতিবাদে গতকাল থানার সামনে রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারপরই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ বেলা ১১টা নাগাদ ত্রিপুরা পৌঁছান অভিষেক। এছাড়াও আজ সকালেই ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ এবং দোলা সেনরাও ত্রিপুরায় যান।
আগরতলা বিমানবন্দর থেকে সোজা খোয়াই থানায় যান অভিষেক। কিন্তু, সেখানে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাঁকে দেখানো হয় কালো পতাকা। গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এরপর থানায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কোন অপরাধে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই নথি দেখতে চান। পাশাপাশি ওই ১৪ জনকে মুক্তি না দিলে সারাদিন থানায় বসে থাকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
সারাদিন ধরে টানাপোড়েন চলার পর অবশেষে বিকেলের দিকে খোয়াই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে জামিন পান যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহারা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁদের। তেলিয়ামোরা থানার যে মূল মামলাটি ছিল তাতেই জামিন পান তাঁরা। অন্যদিকে আম্বাসা থানার তরফে আরও একটি মামলা যুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। যদিও তা খারিজ করে দেন বিচারক।