সংক্ষিপ্ত
দলের আক্রান্ত ছাত্র-যুব নেতাদের পাশে দাঁড়াতেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। উল্লেখ্য, তৃণমূল কর্মীদের উপর হওয়া হামলার নিন্দা করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন অভিষেক।
রবিবার ত্রিপুরা সফরে অভিষেক। মূলত দলের আক্রান্ত ছাত্র-যুব নেতাদের পাশে দাঁড়াতেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। উল্লেখ্য, তৃণমূল কর্মীদের উপর হওয়া হামলার নিন্দা করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন অভিষেক।
শনিবার রাতে টুইটারে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় লিখে জানিয়েছেন যে, তৃণমূল ক্রমীদের উপরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। সব কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার আমি ত্রিপুরা আসছি। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমার রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করব। বিপ্লব দেব পারলে আমায় আটকান। দলীয় কর্মীদের উপরে হামলার নিন্দা করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন অভিষেক।তিনি টুইটে আরও লেখেন, ত্রিপুরায় বিজেপির গুণ্ডারা প্রকৃত রং দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের উপরে বর্বরোচিত হামলা ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের গুণ্ডারাজ প্রকাশ করে দিল। আপনাদের হুমকি এবং আক্রমণ অমানবিকতার প্রমাণ। যা পারেন করুন। তৃণমূল এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।' উল্লেখ্য, সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে যে, ৮ অগাস্ট রবিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ আগরতলায় হোটেল পোলো টাওয়ার্সে বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
"
আরও পড়ুন, বিশ্ব আদিবাদী দিবসে ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা, বানভাসি এলাকাও পরিদর্শন করবেন মুখ্য়মন্ত্রী
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এবার সেখানে নিজেদের জমি শক্ত করতে চলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি ত্রিপুরায় তৃণমূলের জমি কতটা মজবুত তা দেখতে গিয়েছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্য। কিন্তু আচমকাই সেখানে বিপর্যয় নেমে আসে তৃণমূলের আকশে। কোভিড পরিস্থিতির কথা বলে হোটেলের মধ্যে 'বন্দি' করে রাখা হয় তাঁদের। এরপরেই ত্রিপুরা যান তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু ২ অগাস্ট ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতে লাঠি দিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরেই গর্জে ওঠেন তৃণমূলের যুবরাজ। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ত্রিপুরা পাখির চোখ। আগামী দেড়বছরের মধ্যে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করে ছাড়ব। বিজেপির বিদায়ীঘন্টা বেজে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন, Tokyo Olympics: 'গর্বিত', ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়াকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, একটা সময় ত্রিপুরায় ঘাসফুল শিবির সামলাতেন মুকুল রায়। তারপর বিজেপি যেতেই ত্রিপুরার তৃণমূল সংগঠন ক্রমে ক্ষীয়মান হতে শুরু করে। এদিকে মুকুল রায় বিজেপিতে যেতেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম নেতা সুদীপ রায় বর্মণও চলে যান বিজেপিতে। সূত্রের খবর, একাধিক বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই সকল বিজেপি বিধায়করা বাংলায় এসে তৃণমূল শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, একাধিক রাজ্যে শীঘ্রই সংগঠন বিস্তার করতে চায় জোড়াফুল শিবির। সেই সংগঠন বিস্তারের জন্যে মুকুল রায় কাজ করতে পারেন।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস