ঘূর্ণিঝড় আমফান আর খুব বেশি দূরে নেই। আকাশের মুখ ভার, বৃষ্টি নেমেছে দিঘায়। বিকেল গড়াতেই বাড়ির পথ ধরেছেন অনেকেই। যাঁরা নিচু জায়গায় থাকেন, তাঁদের আনা হয়েছে আয়লা সেন্টারে।
আরও পড়ুন: আয়লা, ফণী, বুলবুলের ভয়াবহ স্মৃতি, আমফানের মুখে গ্রামবাসীরাই হাত লাগালেন বাঁধ নির্মাণে
ফণী, বুলবুল বা আয়লার মতো নয়, বরং আমফানের দাপটে দিঘায় ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা আরও বেশি। ফলে যত সময় যাচ্ছে, সৈকতশহরে প্রশাসনের তৎপরতাও বাড়ছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এখন আমফানের অবস্থান দিঘা থেকে মাত্র ৬৩০ কিমি দূরে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বিকেলে উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘুর্ণিঝড়। সমুদ্র থেকে যখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে, তখন ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৮৫ থেকে ২০০ কিমি! বস্তুত, মঙ্গলবার দুপুর থেকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে আমফান। রাজ্যের সর্বত্রই আকাশ মেঘলা, বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের সবথেকে শক্তিশালী ঝড় আমফান, আটলান্টিক হ্যারিকেনের চতুর্থ পর্বের সমতুল
মঙ্গলবার ভোর থেকে ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্রমাদ গুনছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। সকাল থেকেই মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। আয়লার সময়ে দিঘায় শরণার্থীদের থাকার পাকা বাড়ি তৈরি করেছিল প্রশাসন। সেই ভবনটি আয়লা সেন্টার নামে পরিচিত। মন্ত্রীর শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে এবারও সেই আয়লা সেন্টারে এনে রাখা হয়েছে বহু মানুষকে। সমুদ্রসৈকত টহল দিচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। জারি করা হয়েছে চরম সতর্কতা।