শোভন, বৈশাখী, রত্না, এই তিনের মধ্যে থাকা সম্পর্কের সমীকরণে তোলপাড় হয়েছে বাংলার রাজ্য রাজনীতি। একের পর এক বাক্যবান, একের পর এক তোপ, বৈশাখীর দিকে ঝুঁকে পরিবারের থেকে মুখ ফেরালেন শোভন, মুহূর্তে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নেয় শোভন স্ত্রী রত্না। এরপর রাজনীতির ময়দানে কয়েকদিনের জন্য দেখা যায় উল্টো ছবি। বিজেপির সঙ্গে দুরত্ব বাড়ছে শোভন-বৈশাখীর।
আরও পড়ুন- 'অপসরণ নয়-ওনার তো বয়েস হয়েছে', ফিরহাদের মন্তব্যের পর রহস্যঘন 'শিশির'
এরপরই সব চুপ। যদি চাল বদল ঘটে সেই আশায় মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল রত্নাকে। দলীয় সেই পরামর্শকেই মাথা পেতে নিয়েছিলেন রত্না। কিন্তু সোমবার ভাঙল ধৈর্য্যের বাঁধ। বিপেজির হয়ে রাস্তায় প্রচারে নামলেন শোভন-বৈশাখী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগলেন প্রাক্তন মেয়র। এরপরই এক সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। জানালেন, অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজেকে আয়নায় দেখুক শোভন।
এক মহিলার জন্যে ছেঁড়া চটির মত ফেলে গিয়েছেন সন্তানদের, এক মহিলার জন্য ছেঁড়া চটির মত ছেড়ে গিয়েছেন তিনি মন্ত্রীত্ব। তিনি অন্যের সমালোচনা করেন কি করে! সঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, কেন উনি সব কিছু ছেড়েছেন, যদি সে সব কাজের ব্যাখ্যা দিতেন, তাহলে আর এত ভাবতে হত না। রত্নার বাক্যে বানে এদিন উঠে আসতে থাকে একের পর এক শোভনকে ঘিরে অভিযোগ। ৩৬ বছর ধরে যে মায়ের কাছে বেড়ে ওঠা, আজ তারই নিন্দে করছেন শোভন, এক কথায় শোভনকে ব্যাখ্যা করে রত্না জানান, তিনি তৃণমূলের এক কুলাঙ্গার সন্তান।