জেএমবির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এরপরই, এপার বাংলায় জেএমবি জঙ্গি নিয়ে অশনী সঙ্কেত পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা মুর্শিদাবাদে জেএমবির গোপন আস্তানা গড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেননা, বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদে জেএমবি জঙ্গিরা ঘাঁটি গাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-'চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি', ভোটের আগে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি
বাংলাদেশে জেএমবির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হতেই মুর্শিদাবাদের সীমান্ত লাগোয়া সামশেরগঞ্জ, সুতি, লালগোলা, জঙ্গিপুর, রানীনগর এলাকায় রেড অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বাংলাদেশে অভিযানের কারনে ওপার বাংলা থেকে টপকে এপার বাংলায় ঘাঁটি গাড়তে পারে জেএমবি জঙ্গিরা। সম্প্রতি, বাংলাদেশের শাহাজাদপুর, শাহমুখদুম এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দেশের বিশেষ বাহিনী ইতিমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি যোগের অভিযোগে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন-সল্টলেকে কয়লা পাচার কাণ্ডে CBI হানা, অভিযুক্ত অনুপ মাঝির বাড়িতে জোর তল্লাশি
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লাগাতার তল্লাশি অভিযানের জেরে আত্মগোপন করেছে বেশ কয়েকজন মোস্ট ওয়ানটেড জঙ্গি। এর জেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ গোয়েন্দাদের শীর্ষ কর্তাদের। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে জঙ্গিরা মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা গেড়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। সেকারণে জেলার জোমকল, সুতি, সামসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান সহ বেশ কয়েকটি মহকুমায় বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও তদন্তকারীরা।
গোয়েন্দা সূত্রে চাঞ্চল্য তথ্য় মিলেছে। বাংলাদেশে তাড়া খেয়ে মুর্শিদাবাদে ঘাঁটি গেড়ে স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের স্লিপার সেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় জঙ্গিরা বাংলাদেশ থেকে তাড়া খেয়ে এখানে ঘাঁটি গাড়তে তাদের কোনও সমস্যা হবে না। সীমান্তে ভৌগলিক এলাকার সুযোগ নিয়ে এপারে অনায়েসে এদেশে চলে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন তদন্তকারীরা।