বগটুই ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, বালি-পাথর ব্যবসায়ী টুলু -র বিরুদ্ধে শুরু জোর তদন্ত

বীরভূম রামপুরহাট ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডে নয় মোড়। তদন্ত যতই এগিয়ে চলছে, ততই এক একটা নতুন করে দরজা খুলছে। এবার ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডে ব্যবসায়ী যোগ সূত্র বেরিয়ে এসেছে।  

Web Desk - ANB | Published : Apr 24, 2022 12:34 PM IST / Updated: Apr 24 2022, 06:07 PM IST

বীরভূম রামপুরহাট ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডে নয় মোড়। তদন্ত যতই এগিয়ে চলছে, ততই এক একটা নতুন করে দরজা খুলছে। এবার ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডে ব্যবসায়ী যোগ সূত্র বেরিয়ে এসেছে। এবার বালি-পাথর পাচারের তদন্তে নেমেছে ইডি। এতে নাম জড়িয়েছে বালি-পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের। মূলত বগটুয়ে ভাদু শেখের খুনের তদন্ত করতে গিয়েই এসেছে টুলু মণ্ডলের নাম। 

বালি-পাথারের লেনদেনের টাকার উৎসের খোঁজ করতে গিয়েই ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের নাম এসেছে। ইডি সূত্রের খবর, ভাদু শেখের তদন্তের খবর করতে  গিয়ে সিবিআই-র মনে হয়েছে ভাদু শেখের খুনের ঘটনার সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। তাই তার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ইডিকে। খুব শীঘ্রই টুলুর নামে এফআইআর করতে চলেছে ইডি। উল্লেখ্য, ২১ মার্চ রাতে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে খুন করা হয়। একটি খুনের বদলায় তারপর বগটুইয়ে হিংসার আগুনে আরও ৮ জনের পুড়ে মৃত্য়ু হয়। এই ঘটনায় নিহতদের ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে মৃতদেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই কারণেই বগটুই হত্য়াকাণ্ডে এবার নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের সময় নিহতদের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তাকারি সংস্থা সিবিআই সূত্রে খবর, নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও ডিএনএ সংগ্রহ করবে সিবিআই। এরপর ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হচ্ছে দিল্লির ফরেন্সিক লাইব্রেরিতে।

আরও পড়ুন, ঝালদাকাণ্ডে নিহত তপন কান্দুর ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ। চিঠিতে স্পষ্ট লিখেছিলেন, এর আগে কয়েকবার হত্যা করতে আমার ও আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছে।এখন আমি আশঙ্কা করছি আমার উপর পুনরায় হামলা হতে পারে। যে কোনও সময় আমাকে মেরে ফেলবে। এই মুহূর্তে আমি খুবই ভীত।' এরপর রিপোর্ট চাওয়া তো দূরের কথা, পুলিশ সুপারের নোট ছাড়াই সেই চিঠি চলে যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে। চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

আরও পড়ুন, ভাদু শেখের খুন থেকে বগটুই গণহত্যা, সিসিটিভি ফুটেজে এল বিস্ফোরক তথ্য

সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে এবং বাবর শেখের খুনের তদন্ত উঠে আসে, বাবর নয়, টার্গেট ছিলেন ভাদুই। পলাশ শেখ, সোনা শেখরা তখনই টার্গেট করেছিলেন ভাদুকে। সত্যিই প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে ভাদু শেখের, অনুসন্ধানে সেই তথ্য মিলতেই ভাদুর নিরাপত্তার সুপারিশ করা হয়। ভাদু শেখের নিরাপত্তায় একজন পিএসও মোতায়েনের সুপারিশ করে গত বছর ১৪ জুন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন স্বয়ং এসডিপিও। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে , খোদ পুলিশের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন ভাদু শেখের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি পদস্ত কর্তারা।যদি ভাদু শেখ খুন না হতেন,  রামপুরহাটের এই ৮ টিও প্রাণ বেঁচে যেত। রোখা যেত না কি এই খুনটা, তীরের বেগে এই প্রশ্নই উঠে আসছে।  যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ সুপার। তিনি বলেছেন, 'আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।'  

আরও পড়ুন, 'মোদী-যোগী চুপ কেন', উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস

 

Share this article
click me!