দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা সূত্রে ইউক্রেনে ছিলেন হালিশহর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সায়ন ঘোষ। অবশেষে ঘরে ফিরেছে সে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের হাত ধরে গোটা বিশ্বেই বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে সেদেশে আটকে পড়া ডাক্তারি পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে এদেশেও। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধার অভিযান। দেশে ফিরতে শুরু করেছে সেদেশে আটকে তাকা পড়ুয়ারা। ঘরে ফিরছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া বাঙালি ডাক্তারি পড়ুয়ারাও। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা সূত্রে ইউক্রেনে ছিলেন হালিশহর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সায়ন ঘোষ। অবশেষে ঘরে ফিরেছে সে। এদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল পরিবারের লোকজন। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল তাদের। অবশেষে ছেলে বাড়িতে আশায় স্বস্তি মা সোমা ঘোষ বাবা সুশান্ত ঘোষ। স্বস্তির হাওয়া ফিরেছে পরিবার-পরিজনদের মধ্যেও। অন্যদিকে পাড়ায় ছেলে পাড়ায় ফেরায় খুশি প্রতিবেশীরাও।
এদিকে এদিন এলাকার ছেলে ফের ঘরে ফিরতেই সায়ন ঘোষের বাড়িতে যান হালিশহর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিমানীশ ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর সরকারও। তারা দুজনেই দীর্ঘক্ষন কথা বললেন সায়নের সাথে। শোনেন সেদেশে আটকে থাকার সময় তাঁক দু্র্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা। এদিকে গত কয়েকদিনেই ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ইউক্রেনে আটকে থাকা বহু বাঙালি পড়ুয়াই। এখনও আটকে অনেকেই। এদিকে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার নারায়নপুর গ্রামের ডাক্তারি পড়ুয়া চন্দ্রনাথ দত্তের। ২০১৮ সালে তিনিও ডাক্তারি পড়তে সুদূর ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিলেন। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র চন্দ্রনাথ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তাঁর এমন অভিজ্ঞতা হবে। তিনি সম্প্রতি সরকারি প্রচেষ্টায় ফিরেছেন নিজ ভূমে। অন্যদিকে গতকালই ঘরে ফিরেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা পাভেল দাস সহ তিন ডাক্তারি পড়ুয়া। খুশির হাওয়া ফিরেছে তাদের পরিবারেও।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিকে প্রতিটি ভারতীয়কে অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে কয়েকদিন আগেই বড় পদক্ষেপ গ্রহন করে সরকার। চালু হয় মিশন গঙ্গা। এই মিশনের হাত ধরেই ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে দেশে। এই মিশনেই সদ্য ঘরে ফিরেছেন মালদহের সোহান মহালদার।ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা সোহান। তিনি ইউক্রেনের জ়াপরিজ়হিয়া স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানেই আটকে পড়েন তিনি। তারপর থেকে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিল তারও পরিবার।