১২৫১০ ডাউন গুয়াহাটি–ব্যাঙ্গালোর সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে কাজের জন্য ওই ৯ জন নাবালক তামিলনাড়ুতে যাচ্ছিল। মালদহ থেকে তারা এস ওয়ান সংরক্ষিত কামরায় উঠেছিল।
ভিন রাজ্যে (Another State) কাজ করতে যাওয়ার আগেই ট্রেন (Train) থেকে নামানো হল ৯ জন নাবালককে (Minors)। বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট জিআরপি (Rampurhat GRP) তাদের চাইল্ড লাইনের (Childline) হাতে তুলে দিয়েছে। এরপর আইন মেনে ওই ৯ জন নাবালককে তাদের পরিবারের (Family) হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১২৫১০ ডাউন গুয়াহাটি–ব্যাঙ্গালোর সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস (Guwahati–Bengaluru Superfast Express) ট্রেন ধরে কাজের জন্য ওই ৯ জন নাবালক তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) যাচ্ছিল। মালদহ থেকে তারা এস ওয়ান সংরক্ষিত কামরায় উঠেছিল। তাদের মধ্যে সাত জনের বাড়ি মালদহের কালিয়াচকে। আর বাকি দু'জন মালদহের মুথাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি প্রথমে চাইল্ড লাইনের নজরে আসে। তখন তারা রামপুরহাট জিআরপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরেই রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রামপুরহাট জিআরপি তাদের ট্রেন থেকে নামায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জিআরপি-র সাব ইন্সপেক্টর আবুল ফজল বলেন, “আমরা চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে প্রথমে খবরটি পেয়েছিলাম। জানতে পারি যে গুয়াহাটি ব্যাঙ্গালোর সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস ট্রেনে মালদহ থেকে কয়েকজন নাবালক উঠেছে। যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। চাইল্ড লাইন আমাদের সাহায্য চায়। এরপর আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে ট্রেন থেকে ওই ৯ জন নাবালককে রামপুরহাট স্টেশনে নামিয়ে দিই। তারপর কাগজপত্র তৈরি করে তা চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দিই। তবে ওই ৯ জন নাবালক স্বীকার করেছে তারা স্বেচ্ছায় তামিলনাড়ুতে যাচ্ছিল সেলাইয়ের কাজ করতে। কেউ তাদের জোর করে সেখানে নিয়ে যাচ্ছিল না।”
আরও পড়ুন- ৩ দিন পর মিলল খোঁজ, চা-বাগান থেকে উদ্ধার জয়গাঁ থানার এএসআই-এর দেহ
এক নাবালক বলে, "বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই এর আগেও তামিলনাড়ুতে কাজ করতে গিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরে ফের কাজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে। আমরা ওখানে সেলাইয়ে কাজ করে মোটা টাকা উপার্জন করে বাড়িতে পাঠাই।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূম চাইল্ড লাইনের রামপুরহাট শাখার সদস্য মনিরুল শেখ বলেন, “করোনার জেরে আমরা নাবালকদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখেছি। এরপর আমরা তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার করাব। তারপর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে অনলাইনে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই কমিটি যে আদেশ দেবে সেইভাবে আমরা চলব। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি হোমে রেখে তাদের কাউন্সিলিং করার নির্দেশ দেবে। সেই মতো আমরা তাদের হোম পাঠাব। হোম থেকে তারপর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারকে সতর্ক করা হবে যাতে নাবালকদের কোনওভাবেই কাজ করতে না পাঠানো হয়।”