কৈশোর পেরোতেই তৈরি হল নয়া রেকর্ড। ১৯ বছরেই বাইকে সিকিম যাত্রা সম্পূর্ণ করল আসানসোলের তিন যুবক। এত অল্প বয়সে আসানসোল থেকে মোটরবাইকে সম্পুর্ন সিকিম যাত্রা এই প্রথম
ছোট থেকেই পাহাড়(hills) জয়ের স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখে থাকি। এমনকী ভ্রমণপ্রিয়(travel) বাঙালির কাছে পাহাড় বরাবরেরই একটা স্বপ্নের গন্তব্য। কিন্তু প্রায় ১৭ হাজার ফুটের পাহাড় চূড়ায় যদি নিজের বাইকে চড়ে ওঠা যায়? শুনতে খানিক অবাক লাগলেও বর্তমানে বাইকার গ্যাংয়ের(biker gang) দৌলতে ইতিমধ্যেই অনেকেই এই স্বপ্নপূরণ করে ফেলছেন। বরফঢাকা পাহাড়ের বুক চিড়ে অনেকেই পৌঁছে যাচ্ছেন সূদূর লাদাখের(ladakh) মতো বন্ধুর পথেও। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে দুর্গম পাহাড়ি পথ শুধুমাত্র বাইকে সওয়ারি হয়ে যাওয়ার সাহস কতজন দেখিয়েছে? এবার সেই স্বপ্নই সত্যি করে দেখাল আসানসোলের তিন দুই কিশোর সহক এক যুবক।
ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের। কিন্তু ১৮ বছর না হলে সরকারি অনুমতি মেলে না বাইক চালানোর। তাই ১৮ হাওয়া মাত্রই তোড়জোড় শুরু। ১৮ বছরের শেষ দিকে ড্রাইভিং(driving) লাইসেন্স মিলতেই পুরোদমে শুরু যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি। ব্যাকপ্যাক কাঁধে সঙ্গে প্রিয় সাথী বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আসানসোলের কে এস টি পি এলাকার তিতাস, গৌতম। তাদের দুজনেরই বয়স ১৯-র কোটায়। অন্যদিকে তাদের সঙ্গে যায় ২৩ বছরের পার্থ। রওয়ানা প্রায় ২০০০ কিলোমিটার মোটরবাইকে।
আরও পড়ুন - দিঘার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বড়সড় বাস দুর্ঘটনা, প্রায় ১৭ জন আহত, মৃত ৩
যদিও এই দুঃসাহসিক অভিযান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিন বন্ধুই রীতমতো উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জানান ড্রাইভিং এর নিয়ম নীতি মেনেই গোটা যাত্রা সম্পন্ন করেছেন তারা। এমনকী " safe riding with safety gears" সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। তবে বাইক নিয়ে পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ ছিল দীর্ঘদিনের। তাই বয়সের অনুপাতে সরকারি ছাড়পত্র মিলতেই বেরিয়ে পড়ায
আরও পড়ুন - সরকারি দফতরে চুরির প্রতিবাদে প্রতিবাদীকেই পিটিয়ে খুন, ধৃত ১
পাহাড়ি রাস্তায় যাত্রাপথ খুব একটা কম ছিল না। সুদূর আসানসোল থেকে সিটঙ, কার্শিয়াং, লেপচা, নামচি, রাভাঙলা, লাচেন, গুরুদনগমার, লাচুন,ইউম থ্যাং.. জিরো পয়েন্ট,জুলুক,নেওড়া ভ্যালি,রিশপ সহ সম্পূর্ণ সিকিমই(sikim) ঘুরে এসেছে তিতাস, গৌতম, পার্থরা । সম্পুর্ন নিজস্ব জমানো হাত খরচ এবং সোশ্যাল সাইট থেকে গাড়ি মেরামতির শিক্ষা গ্রহণের পরেই এই যাত্রা বলে জানিয়েছে তারা। গাড়ি সরানোর যন্ত্রপাতি, সেফটি জ্যাকেট, জুতো, ব্যাকআপ হেলমেট সবই ছিল সঙ্গে। এদিকে তিন বন্ধুর এই দুঃসাহসিক যাত্রা কোনোরকম বিপর্যয় ছাড়াই সফল হওয়ায় খুশি পরিবার-পরিজনেরাও।