আজ বেলার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা তিলপাড়া জলাধারের মহম্মদবাজারের দিকে সেচ ক্যানেলে ওই ব্যক্তির মৃত দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঠিক তাঁর দেহের পাশে একটি সাপের দেহও ভাসতে দেখেন।
ময়ূরাক্ষী নদীর (Mayurakshi River) তিলপাড়া জলাধার থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয় (Unidentified Man) এক ব্যক্তির মৃতদেহ (Dead Body)। শুধু তাই নয় ওই একই জলাধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি অজগর সাপ (Python)। রবিবার তিলপাড়া জলাধারকে কেন্দ্র করে এমনই এক অবাক করা ঘটনার স্বাক্ষী হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা (Locals)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাপে কাটার ফলে নাকি তাঁকে খুন করে ওই জলাধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন ? এইসব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুটি মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
আজ বেলার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা তিলপাড়া জলাধারের মহম্মদবাজারের দিকে সেচ ক্যানেলে ওই ব্যক্তির মৃত দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঠিক তাঁর দেহের পাশে একটি সাপের দেহও ভেসে থাকতে দেখেন। পূর্ণবয়স্ক অজগর বা পাইথনের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। এদিকে ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন, Municipal Election-কলকাতা-হাওড়া পুরভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত, কবে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন
খবর দেওয়া হয় মহম্মদবাজার থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মহম্মদবাজারের দিকে সেচ ক্যানেলের পাড়ে পৌঁছায়। ওই দেহ দুটি ভেসে গেটে আটকে ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, কীভাবে দুটি দেহ এক সঙ্গে এল সে নিয়ে সাধারণের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়। কারও মতে, অজগরের কামড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাকে পেঁচিয়ে মেরে ফেলেছে অজগর। একইসঙ্গে কেউ বলেন, বিষাক্ত মৃতদেহটিকে কেউ জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই দেহ খেতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে অজগরের। আবার কারও মতে, মানুষ ও অজগরের লড়াইয়ে দু'জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যানেলের পাড়ে বিভিন্ন ধরনের গল্প ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও সর্প বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় বন্যপ্রাণ অপরাধ শাখার সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাস বলেন, "জলে নেমে ওই পূর্ণবয়স্ক অজগরের সঙ্গে লড়াই করে ভেসে আসা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া ওই ব্যক্তি যদি অজগরকে মেরে ফেলে তাহলে তাঁর মৃত্যু হল কেন? আর অজগর যদি পেঁচিয়ে তাঁকে মেরেই ফেলে তাহলে সাপটি মরল কেন?" তাঁর বিশ্বাস, দুটি পৃথক মৃতদেহ ভেসে একসঙ্গে ওই জায়গায় এসে আটকে গিয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে নানান গুজব তৈরি হচ্ছে। এদিকে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহম্মদবাজার থানার খয়রাকুড়ি গ্রামে।