মালদহে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর এলাকায়।
মালদহে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ( Civic volunteer in Malda ) কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর এলাকায়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম মোঃ শহিদুর রহমান। বয়স ৩০ বছর। এই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ি কালিয়াচক থানার কাশিমনগর মন্ডল পাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের মতো বুধবার রাতেও নওদা যদুপুর এলাকায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ডিউটি করছিলেন। গভীর রাতে ৭ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে ব্যাংকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। সেই সময় কর্মরত ওই ভলেন্টিয়ার বাধা দিতে গেলে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ভোর রাতে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার।
আরও পড়ুন, বীরভূম গণহত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য, এখন পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে তদন্ত, কী কী ঘটল এখন পর্যন্ত
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। সাধারণত সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপর এই প্রথমই হামলা হল এমনটা নয়। কম বেশি নিগ্রহের খবর প্রায়শই উঠে আসে। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ট্রাক চালকদের থেকে চড় এমনকি বুটের আঘাতের দৃশ্যও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে এর পিছনেও রয়েছে লম্বা কারণের অভিযোগ আমজনতার। রাতের শহরে বিশেষ করে জেলা শহরগুলিতে ট্রাকের জ্যামে ফেঁসে যায় নিত্য যাত্রীদের গাড়ি। একাধিক জায়গায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এতে তেতে থাকে ট্রাক এবং নিত্য যাত্রী সহ সবাই। অনেক সময় যারা কিছুই করেনি, এমন সিভিক পুলিশও জনতার রাগের শিকার হয়। তবে মালদহের ঘটনা প্রায় সব কিছুরই মাত্রা ছাড়িয়েছে। উলটো দিকে দেখতে গেলে নিত্যযাত্রীর উপরেও সিভিক পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। হয়েছে ভিডিও ভাইরালও।
বাইক চালানোর সময় হেলমেট না পরার জন্য মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছিল জেমস লং সরণি শীল পাড়াতে। বছর ২১ এর ঠাকুরপুকুরের ওই বাইক আরোহীর নাম ছিল পল্লব সরকার। পল্লবের মাথায় হেলমেট না থাকার জন্য সে ভয় পেয়ে পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক সেই সময় স্থানীয় এক যুবক অরুণ দত্ত পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার, আচমকাই তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পল্লবের মাথায় সজোরে আঘাত করে। সেবার পল্লবের মাথায় ছটা সেলাইও পড়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, শহরে সিভিক পুলিশের রাস্তায় ফেলে জুতো দিয়ে বুকে আঘাতের দৃশ্যও কেউ ভোলেনি। প্রত্যেকটা ঘটনাই রাতের শহরেই প্রধানত হয়েছে। সুতরাং মালদহ হোক কি মহানগর কলকাতা, একটাই প্রশ্ন উঠছে, রাতের শহরে কতটা নিরাপত্তা রয়েছে, রাস্তায় বেরিয়ে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরছে কজন।