সংক্ষিপ্ত

পদে থাকলেও ঝালদা থানার কাজ থেকে আপাতত আইসি সঞ্জীব ঘোষকে অব্যহতি দেওয়া হল।   কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় একের পর এক ঝালদা থানার  আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

পদে থাকলেও ঝালদা থানার (Jhalda Thana) কাজ থেকে আপাতত আইসি সঞ্জীব ঘোষকে অব্যহতি দেওয়া হল। এখন পুরুলিয়ার ঝালদা থানার নজরদারিতে এসডিপিও সুব্রত দেবকে দায়িত্ব দিয়েছে জেলা পুলিশ। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Jhalda Tapan Kandu Murder Case ) ঘটনায় একের পর এক ঝালদা থানার  আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ঝালদায় আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসার পর অবশেষে নড়ে বসল প্রশাসন। কাজ থেকে আপাতত আইসি সঞ্জীব ঘোষকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আইসি-র পদেই রয়েছেন, বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন। তিনি বলেন এসিডিপিও ওখানে ক্যাম্প করে রয়েছেন। পুরুলিয়া সদরে সব কিছু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাজ চলছে।উল্লেখ্য, নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, রাজ্যের পুরভোটের পর তপন কান্দুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন  ঝালদা থানার আইসি। সেখানেতৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ আইসি। এমনকি কথা না শুনলে অপহরণ করে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী। এমনকি তার থেকেও খারাপ কিছু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি  কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে তপন কান্দুর মেয়ে দীপা কান্দু বলেছেন, 'আমার বাবাকে যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি চাই। এটার জন্য সবাই আছে। আইসি, সুরেশ আগরওয়াল, নরেন কান্দু ও তার ছেলে, শ্য়াম কান্দু, ভীম তিওয়ারি এবং বিশ্বনাথ কান্দু। আমার বাবা ভোটে জিতেছে, তাই ওদের এই হারটা সহ্য হয়নি। আইসি হুমকি দিয়েছিলেন যে, আপনাকে যখন তখন তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল মাহাতোর উদ্দেশ্যে মেয়ে দীপা বলেন, যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক।' 

আরও পড়ুন, বীরভূম গণহত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য, এখন পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে তদন্ত, কী কী ঘটল এখন পর্যন্ত

প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয়  কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তার।