একবছর আগেই এই দাসপুর নিমতলার বাসিন্দা ধনঞ্জয় মণ্ডল ও অঞ্জলির বড় মেয়ে অঙ্কিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিবপ্রসাদের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অঙ্কিতার উপর নানাভাবে অত্যাচার চালাত তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর (Husband) অত্যাচার সহ্য করতে হত। সেই কারণে বাপেরবাড়িতে চলে এসেছিলেন তিনি। অবশেষে স্ত্রীকে (Wife) বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে গিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু, ফিরতে অস্বীকার করেন স্ত্রী। সেই সময় রাগের মাথায় শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন জামাই। কালীপুজোর দিন রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার পাত্র পাড়ায়। এরপর মদ্যপ জামাই ধরে গণধোলাই দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় স্ত্রী অঙ্কিতা বাগকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কুলহান্ডা এলাকার বাসিন্দা শিবপ্রসাদ। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন তিনি। এদিকে ওই অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করতেই শুরু হয় বচসা। রীতিমতো তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন তাঁর শাশুড়ি অঞ্জলি মণ্ডল। শিবপ্রসাদ মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে বাড়ির দরজা খোলেননি অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যরা। এরপর চিৎকার করতে শুরু করেন শিবপ্রসাদ। তারপর দরজা ভেঙে ওই ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। ঘরে ঢুকেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেদ করেন। কিন্তু, কিছুতেই রাজি হননি অঙ্কিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি শিবপ্রসাদের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানান অঙ্কিতা।
আরও পড়ুন- 'ন্যাকামি করে শোকজ্ঞাপন করতে গেলে নিজদায়িত্বে যাবেন', ২ বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি কুণালের
আরও পড়ুন- হাজার ব্যস্ততার মাঝেও পা রাখতেন ক্লাবে, সুব্রতর প্রয়াণে শোকের ছায়া একডালিয়ায়
একবছর আগেই এই দাসপুর নিমতলার বাসিন্দা ধনঞ্জয় মণ্ডল ও অঞ্জলির বড় মেয়ে অঙ্কিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিবপ্রসাদের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অঙ্কিতার উপর নানাভাবে অত্যাচার চালাত তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই কারণেই অঙ্কিতা দুই মাসের কন্যা সন্তানকে কোলে নিয়ে একমাস আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। এই মুহূর্তে কোনওভাবেই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে চান না তিনি। আর মেয়ের উপর অত্যাচারের কথা শুনে অঙ্কিতাকেও আর শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চান না তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য, গান স্যালুটে শ্রদ্ধা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে
গতকাল শিবপ্রসাদ যখন অঙ্কিতাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসেন তখনই বাধা দেন অঙ্কিতার মা। অভিযোগ, সেই সময় একটু দূরে পড়ে থাকা একটা মোটা লাঠি নিয়ে শাশুড়ির মাথায় জোরে আঘাত করেন শিবপ্রসাদ। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অঞ্জলি মণ্ডল। তাঁদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে হাজির হন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ধরে ফেলেন শিবপ্রসাদকে। এরপর বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মারধরের পরই তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন অঞ্জলি মণ্ডল।