'জাওয়াদের মতো বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা দরকার', বলে বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একদিকে রাজ্য-কেন্দ্রের সমন্বয়ের প্রসঙ্গ তুলে অন্যদিকে আবার ত্রাণ চুরির কথা বলছেন সুকান্ত মজুমদার ।
'জাওয়াদের (Cylcone Jawad) মতো বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা দরকার', বলে বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একদিকে রাজ্য-কেন্দ্রের সমন্বয়ের প্রসঙ্গ তুলে অন্যদিকে আবার ত্রাণ চুরির কথা বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Bjp Leader Sukanta Majumdar)।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'জাওয়াদের মতো বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা দরকার। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রের সরকারের তরফে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গর জন্য অনেকগুলি হেলিকপ্টার ও এয়ারক্রাফট তৈরী রাখা হয়েছে। তৈরী আছে এনডিআরএফ টিম। প্রয়োজনে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ না করলে ফের রাজ্য সরকার এই ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে লেজে গোবরে হবে। এই ধরনের বিপদ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কতটা প্রস্তুত তা আমরা কেউ জানি না। বিষয়টি সম্পর্কে বিধায়ক, সাংসদদেরও কিছু জানানো হয়নি। সবকিছু লুকিয়ে করে রাজ্য সরকার। অতীতে ত্রাণ যেভাবে লুঠ হয়েছে সে বিষয়টাও মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের কাজ করা দরকার। আজ বাঁকুড়ায় দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে জাওয়াদ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। '
অপরদিকে, ঘূর্ণীঝড়ের মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের য়দ দফতরে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশপাশি বিভিন্ন সরকারি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য কন্ট্রোল চব্বিশ ঘন্টাই খোলা থাকছে। ঘূর্ণীঝড় হলে যাতে অসুবিধায় না পড়তে হয়, এজ ইতিমধ্য়েই কন্ট্রোল রুম খুলে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় হাওড়া শহরের জন্যও কন্ট্রোল রুম চালু করছে হাওড়া পুরসভা। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর দু’টি হল ৬২৯২২৩২৮৭০ এবং ৬২৯২২৩২৮৭১। শনিবার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে চব্বিশ ঘন্টাই।পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।বৃষ্টির জেরে যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলি জলমগ্ন হতে পারে সেখানে অতিরিক্ত পাম্প বসানো হচ্ছে। এই ওয়ার্ডগুলি হল ১৯, ২০, ২১, ৭, ৮, ৯, ৫০। ১২টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি রাখা হচ্ছে। ৪০টি পাম্প প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পর্যন্ত পরিমান শুকনো খাবার, জলের পাউচ মজুত রাখা হচ্ছে। জলমগ্ন হতে পারে যে ওয়ার্ডে সেখানে ৮টি স্কুলে বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাসিন্দাদের সেখানে আশ্রয় দেওয়া হবে।এছাড়াও মজুত রাখা হচ্ছে ত্রিপল।তৈরি রাখা হয়েছে পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে।তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।