সংক্ষিপ্ত

  • বহুরূপী সেজেই সংসার চালান অভিজিৎ নস্কর
  • দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জয়নগরের বাসিন্দা তিনি
  • লুপ্তপ্রায় পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন অভিজিৎ


নাম অভিজিৎ নস্কর। তবে এলাকার মানুষজন তাঁকে বহুরূপী বলেই চেনেন। কখনও তিনি মেসি, কখনও আবার মা লক্ষ্মী। 

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত জয়নগর থানার পাঁচঘড়া এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ পেশা হিসেবে বহুরূপী সাজকেই বেছে নিয়েছেন। নিজেকে বিভিন্ন রূপে সাজিয়ে তুলে জেলার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে  বেড়ান অভিজিৎবাবু। তাঁর সাজ দেখে যে যা টুকটাক টাকাপয়সা দেন, তা দিয়েই চলে সংসার। কিন্তু বাংলার বুক থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া শিল্পকেই বুকে আগলে রেখে এগিয়ে যেতে যান বছর ষাটের অভিজিৎবাবু। 

শুধু জয়নগর নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রায় সব প্রান্তের মানুষই চেনেন অভিজিৎকে। ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে মোট তিনজনের সংসার। ছেলে সৌমিত্র অবশ্য বর্তমানে অটো চালানো শুরু করায় সংসারের হাল কিছুটা ফিরেছে। কিন্তু বহু বছর ধরেই অভিজিৎবাবু এই বহুরূপী সেজে এলাকার মানুষকে আনন্দ দিচ্ছেন। আর এইভাবেই চালিয়েছেন সংসার। 

যখন যে অনুষ্ঠান চলে, সেই অনুযায়ী সাজেন অভিজিৎ। যেমন বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় কখনও মেসি তো কখনো মারাদোনার সাজে অভিজিৎকে দেখেছেন জেলার মানুষ। আবার দুর্গা পুজোর সময় মা দুর্গা সেজে পথে পথে ঘোরেন এই বহুরূপী। 

একইভাবে, রবীন্দ্রনাথ, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের মতো মনীষীদেরও অভিজিৎবাবু ফুটিয়ে তোলেন তাঁর সাজগোজের মাধ্যমে। সম্প্রতি জন্মাষ্টমীর দিন অভিজিৎ নস্করকে দেখা যায় কৃষ্ণের ভূমিকায়। জন্মাষ্টমীর দিন সাক্ষাৎ কৃষ্ণের দর্শন পেয়ে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষজন। যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এইভাবেই বহুরূপী সাজের মাধ্যমে বাংলার লুপ্তপ্রায় শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে এলাকার মানুষকে আনন্দ দিতে চান অভিজিৎবাবু।