ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল চিনা যুবক
সে কোনো বড় চক্রান্তে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে
সদ্য তদন্তের ভার নিয়েছে এসটিএফ
বুধবার রাতের মধ্য়েই তাকে কলকাতায় আনা হতে পারে
বুধবারই কলকাতায় আনা হতে পারে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ধৃত, চিনা অনুপ্রবেশকারী হান জুনয়েই (Han Junwei)-কে। যেমনটা এর আগে অনুমান করেছিলএশিয়ানে নিউজ বাংলা, পুলিশ সূত্রেও জানা যাচ্ছে, বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ওই চিনা যুবকের। আর সেই কারণেই মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তভার, মালদা জেলা পুলিশের থেকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ-কে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। আর এরপরই বুধবার রাতের মধ্য়েই তাকে কলকাতায় আনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এর আগে ১৮ জুন তারিখ পর্যন্ত ওই চিনা অনুপ্রবেশকারীকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল মালদহ আদালত। এতদিন, তাকে কালিয়াচক থানার লক-আপে রেখে তদন্ত করছিল জেলা পুলিশ। তবে, মামলাটি এখন এসটিএফ-এর হাতে চলে যাওয়ায়,পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারা হান জুনয়েই-কে এসটিএফ-এর হেফাজতে দিয়ে দিতে চাইছে। এর জন্য তারা মালদহ আদালতে আবেদন করেছে। এসটিএফ-এর পক্ষ থেকেও ওই চিনা নাগরিকের হেফাজতের দাবি করে আরও একটি পৃথক আবেদন করা হয়েছে মালদহ আদালতে। ফলে, মনে করা হচ্ছে আইনি বিষয় মিটিয়ে এদিন রাতের মধ্যেই হান জুনয়েইকে কলকাতায় নিয়ে চলে আসবেন এসটিএফ কর্তারা।
মঙ্গলবার সকালেই জুনয়েইকে নিয়ে গিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল জেলা পুলিশ। তবে, গ্রেফতারির ৫ দিন পরও পুলিশ তার মুখ খোলাতে পারেনি। খুলতে পারেনি তার থেকে বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ এবং আইফোনে-ও। এমনকী অন্য এক ফোনে থাকা উইচ্যাট অ্যাপে ম্যান্ডারিন ভাষায় লেখা কথোপকথনেরও পাঠোদ্ধার করতে পারেনি। বরং দেলা পুলিশের তদন্তকারীদের বারবার বিভ্রান্ত করছিল সে। এরপরই, ঘটনার তদন্তের ভার এসটিএফ-কে দেওয়া হয়েছিল। এসটিএফ-এর মালদা ইউনিটের ইন্সপেক্টর মানবেন্দ্র সাহা এখন এই মামলার তদন্ত করবেন, কন্ট্রোলিং অফিসার মালদা এসটিএফ-এর ডেপুটি সুপার অভিষেক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন - কেন ভারতে রাজ্যগুলির পাশাপাশি রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল - কী এর ইতিহাস, প্রয়োজনই বা কী
আরও পড়ুন - উত্তরবঙ্গ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, দাবি বিজেপি সাংসদের - কী বললেন মমতা
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, ভোর ৬টা নাগাদ, বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেচিল হান জুনয়েই। সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে ধরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তুলে দিয়েছিল জেলা পুলিশের হাতে। কিন্তু, কী মতলবে সে ভারতে এসেছিল, তা এখনও অজানা থেকে গিয়েছে।