সংক্ষিপ্ত
উত্তরবঙ্গ uys পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সাফ জানিয়েছেন দলের এইরকম দাবি নেই। মমতাও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে নিয়ে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। বিষয়টি গত রবিবার লখিপাড়া চা বাগানে বিজেপি সাংসদের বাসভবনে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওঠে এবং এই বিষয়ে আলোচনাও হয়। তবে, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তিনি বাংলার কোনও অংশকে ভাগ করার অনুমতি দেবেন না। এতেকরে বাংলা তার স্বাধীনতা হারাবে এবং নয়াদিল্লির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জন বার্লা বলেছেন, এই অঞ্চলে পৃথক কামতাপুরী রাজ্য, গ্রেটার কোচবিহার এবং গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে আন্দোলন হয়েছে। তিানি তাই মনে করেন, উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলা উচিত। তাঁর দাবি, ছোট রাজ্যগুলি অনেক ভাল পারফর্ম করে। উত্তরবঙ্গ অবহেলিত, এখানে নিরাপত্তার সমস্যাও রয়েছে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ, চা বাগান বন্ধ। তাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা তাঁর। প্রসঙ্গত এক দশক আগে এই জন বার্লাই একটি স্বায়ত্তশাসিত জনজাতি অঞ্চল গড়ার জন্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
জন বার্লা দাবি করেছেন, উত্তরবঙ্গের অন্যান্য বিজেপি সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সংসদেও বিষয়টি উত্থাপন করবেন। উত্তরবঙ্গে বিজেপির চার জন সাংসদ আছেন, এরমধ্য়ে অন্তত জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বার্লার মন্তব্যকে 'ব্যক্তিগত বলেও সমর্থন করেছেন। তবে বঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তাঁর দলের এই জাতীয় কোনও এজেন্ডা নেই। বরং এটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে বদনাম করার চেষ্টা বলেই দাবি করেছেন তিনি। বাংলাকে ভাগ করার বা আলাদা রাজ্য গঠনের কোনও দাবি বিদেপির নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিজেপি অস্বীকার করা সত্ত্বেও, বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের পর বিজেপির লজ্জা পাওয়া উচিত, পরিবর্তে তারা বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন জনগণের অধিকার হরণ করে। তাদের রাষ্ট্রীয় সুয়োগ সুবিধা কেড়ে নেয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির মানে নয়াদিল্লির করুণায় থাকা এবং সমস্ত স্বাধীনতা হারানো।