সংক্ষিপ্ত
গাজিয়াবাদে দাড়ি কেটে নেওয়া হয়েছে মুসলিম বৃদ্ধের
এতে কোনও সাম্প্রদায়িকতা নেই বলে দাবি পুলিশের
উল্টে টুইটার এবং সাংবাদিকদের নামে এফআইআর করা হল
এই প্রথম পুলিশের খাতায় নাম উঠল টুইটারের
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে দিন দুই আগেই এক প্রবীণ মুসলিম ব্যক্তিকে চরম লাঞ্ছনা করার অভিযোগ উঠেছিল। সুফি আবদুল সামাদ নামে ওই ব্যক্তি, একটি ভিডিওতে দাবি করেছিলেন, তার দাড়ি কেটে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে এক পরিত্যক্ত ঝুপড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল এবং তাঁকে 'বন্দে মাতরম' এবং 'জয় শ্রী রাম' বলতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু, এরপরেও ওই ঘটনার পিছনে কোনও 'সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ' ছিল না বলেই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শুধু তাই নয়, বরং এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর অভিযোগে, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার সংস্থার নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
বস্তুত, কেন্দ্রের নতুন তথ্য় প্রযুক্তি বিধি কার্যকর হওয়ার পর, এই প্রথম তৃতীয় পক্ষের কনটটেন্টের জন্য টুইটার সংস্থাকে দায়ী করা হল। এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের নতুন আইটি বিধি মেনে না চলার কারণেই, সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কোনও তৃতীয় পক্ষের কনটেন্ট প্রকাশের বিষয়ে সুরক্ষাকবচ হারিয়েছে তারা। এই সুরক্ষা না থাকায় এবং সুফি আবদুল সামাদের ভিডিওটিকে তারা 'কারচুপি করা মিডিয়া' হিসাবে চিহ্নিত না করার, এই ক্ষেত্রে তাদেরকে দণ্ডনীয় পদক্ষেপের মুখে পড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন - কেন ভারতে রাজ্যগুলির পাশাপাশি রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল - কী এর ইতিহাস, প্রয়োজনই বা কী
আরও পড়ুন - উত্তরবঙ্গ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, দাবি বিজেপি সাংসদের - কী বললেন মমতা
আরও পড়ুনন - লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদ, প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক-এর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ালেন মমতা
অথচ, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা, কেন্দ্রের নতুন আইটি বিধি মেনে বাধ্যতামূলকভাবে একজন অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছিল। একইসঙ্গে সংস্থার এক মুখপাত্র দাবি করেছিলেন, নতুন নির্দেশিকাগুলি মেনে চলার জন্য সংস্থাটি 'সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে" এবং কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করছে।
তবে গাজিয়াবাদের এই ঘটনার পিছনে কোনও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নেই বলেই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ছয় ব্যক্তি, তাদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়েরই মানুষ আছেন, তাঁরা সুফি আবদুল সামাদের বিক্রি করা তাবিজ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। বিষয়টিতে সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর জন্য, রানা আইয়ুব, সাবা নকভি ও মহম্মদ জুবায়ের নামে তিন সাংবাদিকের নামেও এফআইআর করা হয়েছে। উল্লেখ রয়েছে, অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্মের 'দ্য ওয়্যার'-এর নামও। মহম্মদ জুবায়ের ইতিমধ্য়েই একটি টুইটে জানিয়েছেন, ওই ভিডিওটি তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন। পুলিশ এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাঁর প্রাথমিক মত বদলেছেন।