রবীন্দ্রভারতীর বিকৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রভাব মালদহে, অশ্লীল শব্দে গান পোস্ট ছাত্রীদের

  • রবীন্দ্রভারতীর প্রভাব এবার মালদহে
  • বিকৃত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইল স্কুলের পড়ুয়ারা
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
  • বিতর্ক তুঙ্গে

Tanumoy Ghoshal | Published : Mar 7, 2020 7:47 AM IST / Updated: Mar 07 2020, 01:42 PM IST

পরণে স্কুলের ইউনিফর্ম, রবি ঠাকুরের 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানটি বিকৃত করে গাইছে চারজন ছাত্রী। প্রতিটি লাইনে একাধিক অকথ্য, অশালীন শব্দ! রবীন্দ্রভারতীকাণ্ডের ছায়া এবার মালদহেও।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই অবশ্য ক্ষমা চেয়েছে ওই চারজন ছাত্রীর মধ্যে দু'জন।

আরও পড়ুন: কার্জন গেটে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নাচ, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও

রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর কিংবা কথা বদলে যাবে নাতো? কপিরাইট উঠে যাওয়ায় এমনই আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। বাস্তবে ঘটেছেও তাই। 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানটি বিকৃত করে ইউটিউবে রীতিমতো 'স্টার' বনে গিয়েছে রোদ্দুর রায়। কলকাতায় রবীন্দ্রভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তোৎসবে তাঁর গাওয়া গানের তালেই নেচেছে একদল তরুণ-তরুণী। তাঁদের বুকে-পিঠে লেখা ছিল গালিগালাজও! সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, নিন্দার ঝড় উঠেছে। ঘটনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। এবার সেই পথেই হাঁটল স্কুলপড়ুয়ারা! আরও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল মালদহে।

আরও পড়ুন: বেনজির অসভ্যতা, বিতর্কিত বসন্তোৎসবের দায় নিয়ে পদত্যাগ রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের

কী ব্যাপার? মালদহ শহরের অন্যতম নামী স্কুল বার্লো গার্লস হাইস্কুল। অশালীন ও অকথ্য ভাষা রবি ঠাকুরের 'চাঁদ উঠেছে গগনে' গানটি গেয়েছে ওই স্কুলের চার ছাত্রী। শুধু তাই নয়, ভিডিও করে গানটি আবার পোস্ট করে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি ভাইরাল হতে সময়ে লাগেনি। গান গাওয়ার সময় স্কুলের পোশাক পরেছিল ছাত্রীরা। ঘটনায়  স্তম্ভিত বার্লো গার্লস হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার। অনেকেই নাকি তাঁর কাছে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন! তিনজন ছাত্রীর অভিভাবককে স্কুলের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

যে চারজন ছাত্রী এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের মধ্যে দু'জন ক্ষমা চেয়েছে। ওই দুই ছাত্রীর সাফাই, নেহাতই মজার ছলে ভিডিও শুট করা হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হয়ে গেল, তা তারা জানে না। নেটিজেনদের কাছে ভিডিও মুছে ফেলারও আবেদন জানানো হয়েছে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর। তবে যা ঘটেছে, তাতে ভাবনাচিন্তার আর কোনও অবকাশ নেই বলেই মনে করছেন সকলেই।

Share this article
click me!