কাতার থেকে আগত এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন তিনি। করোনা সন্দেহে এবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক মহিলা। কিন্তু তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন করোনা আক্রান্তদের জন্য তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ডটি তালাবন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। মেডিসিন ওয়ার্ডে একটি ঘরে ওই মহিলাকে রাখা হয়েছে বলে জানা দিয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: ছুটি, তবু পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালিয়ে নজর কাড়ল এই স্কুল
আরও পড়ুন: করমর্দন ও হস্তচুম্বন থেকে বিরত থাকার 'নির্মল' পরামর্শ
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ির রায়গঞ্জ ব্লকেরই মহারাজা এলাকায়। রবিবার মধ্যরাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হননি তো? চিকিৎসকদের আশঙ্কা তেমনই। কিন্তু হলে কী হবে! ওই মহিলাকে করোনা আক্রান্তদের জন্য তৈরি বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়নি। তাঁর চিকিৎসা চলছে মেডিসিন ওয়ার্ডের একটি ঘরে। কেন? রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের কর্মীদের সাফাই, রোগীকে অনেক রাতে হাসপাতালে আনা হয়। তখন আর স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের যোগাযোগ করা যায়নি! ফলে রোগীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির করার নির্দেশও আসেনি। এদিকে আবার রোগীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, আইসোলেশন ওয়ার্ডের দরজায় নাকি তালা ঝুলছে! হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত মেডিসিন ওয়ার্ডের একটি ঘরে ওই মহিলাকে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই মহিলার পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, দিন দুয়েক আগে এক প্রতিবেশীর বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কাতার থেকে এক যুবক এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন ওই মহিলা। তাতেই ঘটে বিপত্তি। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। জ্বর আসে, শুরু হয় শ্বাসকষ্টও। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই মহিলার চিকিৎসা-সহ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা।