এই মেলার নজরদারির জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। পুরনো তিন সদস্যের কমিটি বাতিল করে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট।
রাজ্যে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা (Corona)। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। যদিও শর্তসাপেক্ষে মেলা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। তবে এই মেলার নজরদারির জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। পুরনো তিন সদস্যের কমিটি বাতিল করে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন লিগ্যাল সার্ভিসেসেস সদস্য সচিব। আর হাইকোর্টের গড়ে দেওয়া এই কমিটি থেকে শুভেন্দুকে বাদ দেওয়ায় 'খুশি' রাজ্য সরকার (State Government)।
রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখা উচিত বলে আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক (Doctor) অভিনন্দন মণ্ডল। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি মামলা হয়। সব মামলাগুলি একত্র করে হাইকোর্টে শুনানি হয়েছিল। সেই শুনানির পর শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি গড়ে দেওয়া হয়েছিল ৩ সদস্যের একটি কমিটি। সেখানে ছিলেন শুভেন্দুও। প্রশ্ন ওঠে, ওই কমিটিতে যে সব সদস্য রয়েছেন, তাঁরা করোনা নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এরপর রাজ্যের তরফে ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিমুক্ত কমিটি’ গঠনের দাবি জানানো হয়। রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, যে রিপোর্ট যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয় তার জন্য কমিটি থেকে বাদ দেওয়টা হোক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। মঙ্গলবার কার্যত রাজ্য সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। নতুন এই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে।
আরও পড়ুন- সামান্য কমল রাজ্যে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা, সংক্রমণের হার বেড়ে ৩৭.৩ শতাংশ
পাশাপাশি এই কমিটিতে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করার আর্জিও জানানো হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, "হাইকোর্ট যে কমিটি তৈরি করেছে, তা শুধু মেলা বন্ধ হবে কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ঠিক করে মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ন্ত্রণ করা তাদের কাজ নয়। তারা শুধু স্বাধীনভাবে মেলা বন্ধের সুপারিশ করতে পারে রাজ্যকে।"
আরও পড়ুন- কোভিড নিয়মভঙ্গের অভিযোগ, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
এদিকে গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গনটি ‘নোটিফায়েড এরিয়া’ (Notified Area) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোভিড সংক্রমণ নিয়ে যাবতীয় বিধি-নিষেধ এবং ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। জোড়া টিকা আর শংসাপত্র না থাকলে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে, কাউকেই প্রবেশে ছাড়পত্র নয়। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে মুখ্যসচিবকে।