'পুলিশ প্রশাসন আমার কথা শোনে না', পরিবারের উপর নজরদারির অভিযোগ আনলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু

নিজের বসত বাড়ির উপর নজরদারির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। 'শান্তিকুঞ্জ'-র ওপরে ড্রোন উড়িয়ে ফের প্রাইভেসি নষ্ট করা হচ্ছে ও নজরদারির অভিযোগ  তুলেছেন দিব্যেন্দু অধিকারির।  

Web Desk - ANB | Published : Jan 22, 2022 5:17 AM IST / Updated: Jan 22 2022, 11:48 AM IST

নিজের বসত বাড়ির উপর নজরদারির (surveillance on house ) অভিযোগ তুললেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikaris Brother Dibyendu Adhikari)। 'শান্তিকুঞ্জ'-র ওপরে ড্রোন উড়িয়ে ফের প্রাইভেসি নষ্ট করা হচ্ছে ও নজরদারির অভিযোগ  তুলেছেন দিব্যেন্দু অধিকারির। মূলত, এই মহূর্তে অধিকারী পরিবারের প্রায় অধিকাংশজনই বিজেপিতে। একুশের নির্বাচনের অনেক আগেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী। এহেন পদ্ম পরিবারের মাঝে এখনও তৃণমূলে রয়েছেন শুভেন্দু ভাই  দিব্যেন্দু অধিকারী। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার একাধিক অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী।

তমলুকের সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের সেজো ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারি অভিযোগ করে বলেন, 'মহামান্য আদালতের নির্দেশের পরেও  সকালে আমার পরিবারের ওপরে ড্রোন উড়িয়ে সিভিল ড্রেসে কে বা কারা নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই ব্যাপারে আমি দলকে ও লোকসভার স্পিকার কে সমস্ত বিষয় জানাবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পরিষদীয় দলনেতা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিফ হুইপ, আমি ওনাদেরকে শ্রদ্ধা করি সম্মান করি। আমি একজন তৃণমূল সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও, জেলাশাসক আমার ফোন ধরেন না। পুলিশ প্রশাসন আমার কথা শোনে না। আমার অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, বললেন দিব্যেন্দু অধিকারি।

আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় রক্ষী প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি ২ BJP বিধায়কের, ফের দল বদলের ইঙ্গিতে জল্পনা তুঙ্গে

পরিবারের পক্ষে শুভেন্দু অধিকারী মহামান্য উচ্চ আদালতে প্রাইভেসি নষ্ট নিয়ে মাইক-সিসিটিভি নিয়ে মামলা করেছিলেন। তার রায় দিয়েছে। স্পেলিং রাজনৈতিকভাবে অন্যদল করেন। পরিবারের কথা ভেবেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ফের ড্রোন ওড়ানোর ঘটনায় আদালতে যেতে পারেন। শুক্রবার সকাল সকাল ড্রোন' ওড়ানোর জন্য নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন এবং মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করেছেন বলেও জানান দিব্যেন্দু অধিকারি। তিনি আরও জানান, কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই ধরনের ড্রোন উড়ানো হচ্ছিল। প্রিন্সিপালকে তিনি অভিযোগ করেছেন। কাঁথি থানার আইসিকেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এই মহূর্তে অধিকারী পরিবারে সংখ্যা গরিষ্ঠই পদ্ম। তারই মাঝে ঘাসফুল বলতে অধিকারী পরিবারের সেজো ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারি। একটা সময় এই অধিকারী পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্বে বিরাজ করতেন। পরিবারের কর্তা শিশির অধিকারী এবং তাঁর ছেলেরা ছিল ঘাসফুলের একএকটা বড়স্তম্ভ। তবে এগারোর সালের মমতার সরকার গঠনের পর তৃণমূলের হয়েই রাজ করছিল অধিকারী পরিবার। পরিবারের প্রধান শক্তিশালী তৃণমূল ব্যক্তিত্ব ছিলেন তখন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার ছন্দপতন ঘটে একুশের নির্বাচনের আগেই। শুভেন্দু সহ তার পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই শুরু শাসকদলের সঙ্গে বিরোধীতা। এদিকে অধিকারী পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বিজেপি গেলেও এখনও তৃণমূলেই দিব্যেন্দু। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উপরে এই কারণেই চাপটা জোরদার বলেই গুঞ্জন রাজনৈ

Read more Articles on
Share this article
click me!