'প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করেছেন তৃণমূল কর্মীরা', পুরুলিয়ার ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছেন।
'প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করেছেন তৃণমূল কর্মীরা', পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর বিধানসভা এলাকায় ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, সেখানে দেখা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে জাতীয় পতাকার পরিবর্তে তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। জাতীয় সঙ্গীত সেখানে এক একজন একেকভাবে ও আগেপিছে করছেন। এই ভিডিওটিই টুইটারে আপলোড করে অভিযোগ তুলেছেন শিশিরপুত্র। তবে এই ভিডিও এবং অডিও-র সতত্য যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা (Asianet News Bangla)।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বলেছেন, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর বিধানসভা এলাকায় প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরির উপস্থিতিতে তৃণমূল নেতারা জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করেছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে জাতীয় পতাকার পরিবর্তে তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর আপলোড করা এই ভিডিও এবং অডিও-র সতত্য যাচাই করে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। পাশাপাশি এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে এই ইস্যুতে পূর্ণচন্দ্র বাউরির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি-র সঙ্গে কথা বলা হলে তাঁরাও এই নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ কেউ এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং সেখান থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। সেবারও তৃণমূলকে নিয়ে তোপ দাগেন বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে। যেখানে দেখা যায় দুর্গাপুজোয় দশভূজা রূপে দাঁড়িয়ে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মূর্তি।নীল পাড়ের সাদা শাড়ি , চোখে চশমা এবং দুই হাতে ধরে রেখেছেন গণেশ ঠাকুরকে। বাকি আটহাতে দুর্গা ঠাকুরের অস্ত্র নয় বরং রাজ্যের একাধিক সরকারি প্রকল্পের নাম। কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী, খাদ্যসাথী কী নেই সেখানে। এরপরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। গণেশ জননী রূপে সেবার মমতাকে দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তবে এতো গেল পৌরাণিক কাহিনীতে রাজনীতির প্রবেশ। এবার জাতীয় পতাকার বদলে দলীয় পতাকার ইস্যুতে কার্যতই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে ২৬ জানুয়ারি কলকাতার রেডরোডের সরকারি অনুষ্ঠানে শুভেন্দুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই ইস্যুতেও বেশ ক্ষেপে রয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সেই ইস্যু তুলে তৃণমূল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে তোপ দাগতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।