সরকারি স্কুলের জমিতে 'দোকান তৈরির চেষ্টা', প্রতিবাদ করে 'অপমানিত' শিক্ষিকা

  • স্কুলের জমিতে বাণিজ্য়িক কার্যকলাপ
  • পাঁচিল ভেঙে 'দোকান ঘর তৈরির চেষ্টা'
  • প্রতিবাদের মাশুল দিলেন শিক্ষিকা
  • শোরগোল পড়ে গিয়েছে রামপুরহাটে

Asianet News Bangla | Published : Aug 4, 2020 12:53 PM IST / Updated: Aug 04 2020, 06:28 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: সরকারি স্কুলের জমিতে দোকান ঘর তৈরির চেষ্টা! প্রতিবাদ করায় শিক্ষিকাকে 'চূড়ান্ত অপমান' করলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে।

আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, চাঞ্চল্য ছড়াল নবদ্বীপে

রামপুরহাট হাইস্কুলটি শতাব্দী প্রাচীন। পাঁচিল ভেঙে সেই স্কুলের জমিতে দোকান ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তনীরা তো বটেই, প্রতিবাদে পথে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। চুপ করে থাকেননি রামপুরহাট হাইস্কুলেরই শিক্ষিকা দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজের মতামত জানান তিনি। আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার নেয় যে, ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন খোদ রামপুরহাটের মহকুমাশাসক ও স্থানীয় বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষপর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় স্কুল পরিচালন সমিতি। দোকান ঘর তৈরির কাজ বন্ধ করে ফের পাঁচিলও তুলে দেওয়া হয় স্কুলের জমিতে। কিন্তু ঘটনা হল, স্কুলের চত্বরে নবনির্মিত পাঁচিল এখনও ভাঙা হয়নি। 

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের শিকার বিডিও ও জয়েন্ট বিডিও, আতঙ্কের পারদ চড়ছে নলহাটিতে

দোকান ঘর তৈরি কাজ তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাহলে স্কুলের চত্বরে পাঁচিল এখনও ভাঙা হল না কেন? প্রতিবাদের মাশুল দিলেন রামপুরহাট হাইস্কুলের শিক্ষিকা দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ,  প্রধান শিক্ষিকার সামনে তাঁকে অপমান করেছেন খোদ পরিচালন সমিতির সভাপতি। সুবিচার চেয়ে প্রধানশিক্ষিকার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবিকা। তিনি বলেন, 'স্কুলের জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলাম। এরপরই স্কুল পরিচালন সমিতি সভাপতি আমার কাছে কৈফিয়ত চান ও অপমানজনক কথা বলেন। আমি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছি।' তাঁর প্রশ্ন, 'একজন মনোনীত সভাপতি কীভাবে একজন শিক্ষিকার ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করতে পারেন?'

কী বলছেন রামপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির  সভাপতি আরশাদ হোসেন? তাঁর সাফাই, 'শিক্ষিকা নিজেই নিয়ম মানেন না, সময়মতো স্কুলে আসেন না। বাঁচার তাগিদে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যায় অভিযোগ করছেন।' ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষকও।
 

Share this article
click me!